টানা তৃতীয় বছর কমলো চীনের জনসংখ্যা

| শনিবার , ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫ at ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ

চীনের জনসংখ্যা ২০২৪ সালে টানা তৃতীয় বছরের মতো হ্রাস পেয়েছে। জন্মের সংখ্যা টানা সাত বছর পর প্রথমবারের মতো কিছুটা বাড়লেও তা মৃত্যুকে ছাড়াতে পারেনি। আসছে বছরগুলোতে এই প্রবণতা ত্বরান্বিত হবে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর বিডিনিউজের।

দেশটির ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (এনবিএস) গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, ২০২৪ সালে চীনের মোট জনসংখ্যা ১৪০ কোটি ৮২ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২৩ সাল থেকে ১৩ লাখ ৯০ হাজার কম। এই নিয়ে ২০২১ সাল থেকে টানা তৃতীয় বছরের মতো চীনের জনসংখ্যা কমলো।

২০২৪ সালে দেশটিতে এক কোটি ৯৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যেখানে এর আগের বছর সংখ্যাটি ছিল এক কোটি ১১ লাখ। এতে মৃত্যুর হার আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এর বিপরীতে গত বছর চীন ৯৫ লাখ ৪০ হাজার নবজাতকের জন্ম তালিকাবদ্ধ করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় পাঁচ লাখ ২০ হাজার বেশি। তারপরও জন্মের এই সংখ্যা মৃত্যুকে ছাড়াতে না পারায় জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা অব্যাহত থাকছে। ২০২৪ সালে চীনের জন্মহার প্রতি হাজারে ৬ দশমিক ৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এটি আগে বছরের জন্মহারের তুলনায় প্রতি হাজারে শূন্য দশমিক ৩৮ জন বেশি।

চীনের জনসংখ্যা সমিতির সহসভাপতি এবং নানকাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইউয়াং শিং জন্মহারের এই বৃদ্ধির জন্য কোভিড১৯ মহামারীর পর বিয়ে নিবন্ধন বৃদ্ধি পাওয়া ও চীনের শিশুজন্ম সহায়তা পদ্ধতিকে কৃতিত্ব দিয়েছেন, জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সিনহুয়া। সরকারি তথ্যে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, ২০২৩ সালে প্রায় এক কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার ব্যক্তি বিবাহ করেন, এ সংখ্যাটি ২০২২ সাল থেকে ১৩ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি এবং এটি ২০১৪ সাল থেকে নববিবাহিতদের সংখ্যা প্রথম বৃদ্ধির ঘটনা। বিশ্লেষকদের ধারণা, কোভিড১৯ এর কারণে অনেকেই তাদের বিয়ের পরিকল্পনা পিছিয়ে দিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন তাই মহামারীর পর বিয়ের ধুম পড়ে গিয়েছিল।

রয়টার্স লিখেছে, মৃত্যুহার বেশি থাকার তথ্য বেশ উদ্বেগজনক। কারণ এ ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির শ্রমিক এবং ভোক্তার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। বৃদ্ধদের সেবা ও অবসরকালীন ভাতার বাড়তে থাকা খরচ অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রায় ২,৫০০ জনের সাজা মওকুফ করলেন বাইডেন
পরবর্তী নিবন্ধগাজায় হামলা চলছেই, যুদ্ধবিরতি এখনও কার্যকর হওয়া বাকি: ইউনিসেফ