নগরীকে গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে গতকাল বুধবার আন্দরকিল্লা থেকে সাব এরিয়ার ব্যবসায়ীদের মাঝে বর্জ্য সংগ্রহের বিন বিতরণ করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, চসিক, সিডিএ, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে কাজ করা হচ্ছে। নগরীর উন্নয়নে এই সমন্বয় ধরে রাখা হবে।
তবে নগরীর ৩৬টি খাল পরিষ্কার করলেই জলাবদ্ধতা পুরোপুরি দূর হবে না। জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫৭টি খালকে এর আওতায় আনতে হবে। জলাবদ্ধতার মূল কারণ পলিথিন, প্লাস্টিক, এবং ককসিট। এগুলো নালা ও নর্দমায় ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ডাস্টবিনে ফেলতে হবে। যত্রতত্র বর্জ্য ফেলায় বর্ষায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। নগরীর দোকানগুলোর সামনে ডাস্টবিন বসানো হবে। যদি কোনো দোকানের সামনে ময়লা পাওয়া যায়, তবে সেই দোকানের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আমরা পচনশীল এবং অপচনশীল পলিথিন, প্লাস্টিক বর্জ্য আলাদা করার পরিকল্পনা করছি। এসব বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, জৈবসার এবং বায়োগ্যাস উৎপাদন সম্ভব। এতে বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে এবং যত্রতত্র বর্জ্য ফেলার প্রবণতা কমবে। বিন বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এবং ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহিসহ পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।