নিজ বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক–ইওল। দেশটির দুর্নীতিবিরোধী তদন্তকারীরা গতকাল বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করেন। ইউনকে গ্রেপ্তারের আগে তার নিরাপত্তাকর্মী ও সমর্থকদের বাধার মুখে পড়তে হয় তদন্তকারীদের। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি।
এর আগেও একবার ইউন সুক–ইওলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তখন সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় তিনি গ্রেপ্তার হলেন। ঐতিহাসিক এ ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশটিতে এই প্রথম দায়িত্বে থাকা কোনো প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করা হলো। খবর বাংলানিউজের।
তদন্তকারীরা জানান, গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারির সঙ্গে সম্পর্কিত বিদ্রোহের অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সামরিক আইন জারির চেষ্টা করার পর বিদ্রোহের অভিযোগে তদন্ত চলাকালে ইউন কয়েক সপ্তাহ ধরে কড়া নিরাপত্তায় নিজ বাসভবনেই ছিলেন।
ইউনকে দুর্নীতি তদন্ত দপ্তরে (সিআইও) জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সংস্থাটির সমন তিনি এর আগে উপেক্ষা করেছিলেন। এক ভিডিও বার্তায় ইউন বলেন, তিনি দুর্নীতি তদন্ত দপ্তরে হাজির হতে রাজি হয়েছেন, যদিও এটি একটি অবৈধ তদন্ত। এর মানে এই নয় যে আমি তাদের তদন্তের অনুমোদন দিচ্ছি। তিন মিনিটেরও কম সময়ের ওই ভিডিওতে তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে। যে সংস্থাগুলো তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে বা যে আদালতগুলো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করছে, তাদের এমনটি করার এখতিয়ার নেই।
ডিসেম্বরের শুরুতে হঠাৎ করে দেশে সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইউন। কিন্তু পার্লামেন্ট সেই আদেশের বিরুদ্ধে ভোট দিলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি সামরিক আইন তুলে নিতে বাধ্য হন।