মুখ্য সংগঠককে অবরুদ্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৮:১০ পূর্বাহ্ণ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদকে চট্টগ্রাম নগরের ওয়াসা মোড়ে একটি অফিসে অবরুদ্ধ এবং হামলার অভিযোগে প্রতিবাদী মানববন্ধন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল রোববার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে না, কেউ অপরাধ করলে যাতে পার না পায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেউ বিশেষভাবে সুযোগ সুবিধা নিতে কিশোর গ্যাংয়ের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসন করার চেষ্টা করলে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কাউকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে কিশোর গ্যাংয়ের কেউ যদি ঘুরঘুর করে, চাঁদাবাজি করে, ইভটিজিং করে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান মানববন্ধনে বক্তারা। তারা বলেন, গতকালকের (শনিবার) ঘটনায় আমরা নিরপেক্ষসুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার প্রত্যাশা করছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ডট গ্যাং; এ কিশোর গ্যাংয়ের মাস্টারমাইন্ড শৈবাল দাশ সুমন, নুরুল আজিম রনিরা। তারা এখনো কেন প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে এর জবাব চাই আমরা। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীর পিছনে কিশোর গ্যাং লেলিয়ে দেওয়ার পিছনে নুরুল আজিম রনি, শৈবাল দাশ সুমন, আ জ ম নাছিররা জড়িত। এদের অতীত ইতিহাস খতিয়ে দেখে প্রকৃত দোষীদের বিচার দাবি করেন তারা। আর এ ডট গ্যাং বর্তমানে কারা নেতৃত্ব দিচ্ছে, কাদের ছত্রছায়ায় অপরাধ ঘটছে; তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে রাফি ডট গ্যাংকে পুনর্ববাসন করার চেষ্টা করেছে।

এর আগে গত শনিবার জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রচারণায় চট্টগ্রামে আসেন কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ। নগরের ২ নম্বর গেট বিপ্লব উদ্যানে জুলাই ঘোষণাপত্রের লিফলেট বিতরণ শেষে নগরের ওয়াসা মোড়ের একটি ভবনের পাঁচতলায় যান মাসউদরাসেলসহ অন্যান্যরা। সেখানে তারা পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে একটি সভা করেন। সেখানেই আরেক সমন্বয়ক রিজাউর ও ডট গ্যাংয়ের সদস্যরা মাসউদরাসেলকে অবরুদ্ধ করে হামলা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে এ নিয়ে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে রাসেল সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলন চলাকালে রাফিরিজাউর উপস্থিত হলে সেখানেও হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। এসময় রাসেলসহ অন্যান্যরা সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পরে প্রেসক্লাবের নিচেও এসে রাফি সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তদন্ত সাপেক্ষে তিনিও দোষীদের বিচার দাবি করেন।

উল্লেখ্য, ডট গ্যাং একটি কিশোর গ্যাং। নগরের স্বনামধন্য তিনটি স্কুলের ৪০ জন শিক্ষার্থী এ গ্যাংয়ের সদস্য। ২০২৩ সালে র‌্যাবের এক অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে আসে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগদে ২৩০০ কোটি টাকা অনিয়মের তথ্য সামনে আনলেন গভর্নর
পরবর্তী নিবন্ধমোবাইল ইন্টারনেটে ‘প্যাকেজ শর্ত’ তুলে দিল বিটিআরসি