অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কর্মসূচির পরিধি বাড়ানোর তাগিদ

ঘাসফুলের ৪৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা

| রবিবার , ১২ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ

চান্দগাঁও আবাসিক এলাকাস্থ ঘাসফুল প্রধান কার্যালয়ে গতকাল শনিবার ঘাসফুলের ৪৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন ঘাসফুলের চেয়ারম্যান ড. মনজুরউলআমিন চৌধুরী। তিনি ঘাসফুলের প্রতিষ্ঠাকালীন ইতিহাস তুলে ধরে এর অগ্রযাত্রায় যাঁরা শ্রম ও মেধা দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ৩৬ জুলাইর ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং প্রয়াত সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

ঘাসফুল নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাফরূহা সুলতানা সভায় গত এক বছরের কার্যক্রম ও অগ্রগতি রিপোর্ট উপস্থাপন করেন। সংস্থার সিইও আফতাবুর রহমান জাফরী তাঁর বক্তব্যে ঘাসফুলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে অবহিত করেন।

সভায় উপস্থিত সদস্যরা সাধারণ সম্পাদকের উপস্থাপিত বিবরণীর ওপর আলোচনায় অংশ নেন এবং চলতি অর্থবছরের ঘাসফুল পরিচালিত সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং নতুন শুরু হওয়া প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি মূল্যায়নসহ আগামী অর্থবছরের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও করণীয় নির্ধারণ করেন। সভায় সংস্থার আগামী ২০২৪২০২৫ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন, অডিটর নিয়োগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় বক্তারা বলেন, ঘাসফুল শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিশেষত গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং শিশু বিকাশসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এসব কার্যক্রম আরও প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিতে এবং গ্রামীণ কৃষকদের জন্য যুগোপযোগী উদ্যোগ নিতে হবে।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঘাসফুল নির্বাহী পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান শিব নারায়ণ কৈরী, কোষাধ্যক্ষ কে এ এম মাজেদুর রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. আবদুল করিম, প্রফেসর ড. এম. . সাত্তার মন্ডল, প্রফেসর ড. গোলাম রহমান, প্রফেসর ড. জয়নাব বেগম, পারভীন মাহমুদ এবং মো. নজরুল ইসলাম । ঘাসফুল সাধারণ পরিষদ সদস্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন শাহানা বেগম, কবিতা বড়ুয়া, সমিহা সলিম, ইয়াসমিন আহমেদ, মো. ওয়াহিদুজ্জামান, জেরিন মাহমুদ হোসেন, ঝুমা রহমান ও জাহিদা ইস্পাহানি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোটারি ক্লাব অব গ্রেটার চিটাগাংয়ের সভা
পরবর্তী নিবন্ধচকরিয়ায় বাস চাপায় পথচারী বৃদ্ধ নিহত