মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় রাখাইনের একটি গ্রামে ৪০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রিত রামরি দ্বীপের কিউক নি মাও গ্রামে গত বুধবার ওই হামলা চালানো হয় বলে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি এবং স্থানীয় একটি দাতব্য সংগঠন দাবি করেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, বোমা হামলায় আগুনে শতাধিক বাড়ি পুড়ে যাওয়ার তথ্য দিয়েছে আরাকান আর্মি। তবে সেনাবাহিনী ওই এলাকায় কোনো হামলার কথা স্বীকার করেনি। খবর বিডিনিউজের।
মিয়ানমারের সবথেকে বড় শহর ইয়াঙ্গুন থেকে ৩৪০ কিলোমিটার উত্তর–পশ্চিমে রামরির অবস্থান। গত বছরের মার্চে রামরি আরাকান আর্মি দখলে নেয়। বিবিসি লিখেছে, রামরির ওই গ্রামের পরিস্থিতি জানা যায়নি। বেশিরভাগ এলাকায় ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আরাকান আর্মির মুখপাত্রদের একজন খেইং থুখা বলেন, বুধবার বিকালে জেট ফাইটার থেকে বোমা ছোড়া হয়। এতে ৪০ জনের প্রাণহানি ছাড়াও ২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। নিহত সকলেই বেসামরিক নাগরিক। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুরা রয়েছেন। বোমা হামলা থেকে গ্রামে আগুনও ধরে যায়। এতে ৫ শতাধিক বাড়িঘর পুড়ে যায়।
২০২১ সালে ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাশাসন জারির পর থেকে মিয়ানমারে যুদ্ধ চলছে। বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনী প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগ করে। এরপর অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে আরাকান আর্মিসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী। তাদের সংঘাতের প্রভাব পড়ছে এপারে বাংলাদেশ সীমান্তেও। বিভিন্ন সময়ে ওপারের গোলা, গুলি উড়ে এসে পড়েছে বাংলাদেশে। সংঘর্ষের ফলে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় ধোয়া উড়তে দেখা যায় মাঝেমধ্যেই। বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্ত এলাকা।