বেশি জ্ঞান বিতরণ করা ভালো না। উচিৎ না নিজেকে সবজান্তা হিসেবে জাহির করা। জাহির করা উচিৎ না নিজের পাণ্ডিত্যও। আমরা সুযোগ পেলেই উপদেশ দিতে খুব পছন্দ করি। নিজের অবস্থান, আচার–আচরণ, সৌজন্যতাবোধ, ভদ্রতা, নম্রতা, কোমলতা, সহমর্মীতা কিছুই হিসেবের মধ্যে নেই না। এসব নিয়ে পরোয়াও করি না। পাশাপাশি নিজের দুর্বলতা অক্ষমতা অসক্ষমতা অসহিষ্ণুতা কর্তৃত্ববাদী মনোভঙ্গি অভদ্রতা অশালীনতা অসৌজন্যতা অজ্ঞতা কর্কশতা নিজের চোখে কখনোই ধরা পড়ে না। ধরা পড়ার কথাও নয়। তবে তা অন্যদের কাছে অশোভনীয়, অভদ্রোচিত, অসৌজন্যমূলক এবং দৃষ্টিকটুভাবে তা প্রকাশিত বা দৃশ্যমান হয়। মনে রাখা উচিৎ, অন্ধ হলেই কিন্তু প্রলয় বন্ধ হয় না। অতএব উপদেশ দেয়ার, জ্ঞান বিতরণের এবং পাণ্ডিত্য জাহিরের আগে নিজের সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া খুবই জরুরি। নিজের অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে অন্যের দিকে আঙ্গুল তুলুন। উপদেশ খয়রাত করুন। জ্ঞান দান করুন। জাহির করুন পাণ্ডিত্য। এমন কোনো কথা বলা উচিৎ না যা আপনার নিজের পক্ষেই তা পালন করা খুবই কঠিন এবং দুরূহও বটে। আপনি নিজেই জানেন না যে আপনার কাছে সেই দক্ষতা যোগ্যতা সক্ষমতা সামর্থ্য মোটেই নেই। মুখ থেকে কিছু বের করার আগে সাধু সাবধান!