মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইন প্রদেশে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় শিশুসহ অন্তত ৪০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। কমপক্ষে ২০ জন বাসিন্দা আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত বুধবার রাখাইন রাজ্যের রামরি টাউনশিপে আরাকান আর্মি (এএ) নিয়ন্ত্রিত একটি গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের গণমাধ্যম দ্য ইরাবতির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিমান থেকে ছোড়া বোমায় হামলায় সৃষ্ট আগুন দ্রুত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে এবং উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্য ওয়ার্ড এবং প্রধান বাজারের কাছাকাছি প্রায় ৫০০টি বাড়ি পুড়ে যায়। হতাহতদের মধ্যে নারী, শিশু এবং বৃদ্ধ রয়েছেন। খবর বাংলানিউজের।
আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থু খা এএফপিকে বলেছেন, বুধবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে রাখাইনের রামরি দ্বীপের কিয়াউক নি মাউ শহরে সেনাবাহিনীর বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এতে ওই এলাকায় ধরে যাওয়া আগুনে ৫ শতাধিক বাড়িঘর পুড়ে গেছে। স্থানীয় উদ্ধারকারী দলের একজন সদস্য বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, জান্তা বাহিনীর হামলায় ৪১ জন নিহত ও ৫২ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার কিয়াউক নি মাওয়ের এক বাসিন্দা দ্য ইরাবতিকে বলেন, ওষুধের অভাব আছে তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। নিহতের তুলনায় আহতের সংখ্যা বেশি।
গত বছরের ১১ মার্চ মিয়ানমারের পশ্চিম উপকূলের একটি দ্বীপ রামরি টাউনশিপের নিয়ন্ত্রণ দখল করে আরাকান আর্মি। যুদ্ধ না থাকা সত্ত্বেও শাসকগোষ্ঠী তখন থেকে এই অঞ্চলে ঘন ঘন বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। উল্লেখ্য, মিয়ানমারে ২০২১ সালে সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকারের পতন ঘটে। এরপর থেকে দেশজুড়ে জান্তাবিরোধী ব্যাপক সশস্ত্র বিদ্রোহের শুরু হয়। রক্তাক্ত এই বিদ্রোহের কেন্দ্রে রয়েছে রাখাইনের সংঘাত।