কক্সবাজারের চকরিয়ার বদরখালীতে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর পিতা।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে মামলাটি লিপিবদ্ধ করার কথা জানিয়েছে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের ভুঁইয়া।
মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এর আগেই ৮ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে। এরমধ্যে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা ৪ জন রয়েছে বলে জানান ওসি মঞ্জুর কাদের ভুঁইয়া।
ওসি দাবী করেন, ওই ৪ জন ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন এবং এ ঘটনায় ৬ জন জড়িতের কথা জানান পুলিশকে।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামীরা হলেন, বদরখালী ৪নং ওয়ার্ডের জিয়াবুল করিমের ছেলে তাজুল ইসলাম (১৮), ৩নং ওয়ার্ডের আবু ছাহে এর ছেলে অমিত হাসান(২৫), ০১নং ওয়ার্ড ঢেমুশিয়া পাড়া গোলাম কাদেরের ছেলে তারেক জিয়া (২৬), ৮নং ওয়ার্ডের-মোঃ ইছহাকের ছেলে মোঃ কাজল(২৩), একই এলাকার ছোটন-২ ও ফারুক।
এদিকে এ ঘটনায় সন্দেহভাজন আরো চারজনকে আটক করা হয়। যাদের নাম নেই এজাহারে। তারা হলেন, বদরখালী ৩ নং ওয়ার্ডের মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে মোঃ বশির আহমদ (৪৫), নুরুল আকবরের ছেলে সজীব (২৫) এবং ১নং ওয়ার্ডের আবদুস সোবাহানের ছেলে মোঃ শাহজাহান ও ছোটন (২২)। এখানে বশির আহমদ ও ছোটন সম্পর্কে পিতা পুত্র। যারা ৫৪ ধারায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে আছেন।
বশির আহমদের স্ত্রী ইসমত আরা (৩৮) দাবী করেন, তার স্বামী একজন জেলে। ঘটনার দিন রোববার (৫ জানুয়ারি) রাত ৮ টার পর থেকেই তার স্বামী বশির ও ছেলে ছোটন ঘরেই ছিলো। তাই এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার কোনো কারণ নেই।
মূলত এ ঘটনায় ছেলের নামের সাথে সাদৃশ্য ছোটন নামের একজন জড়িত থাকায় তার স্বামী ও ছেলেকে এমন হেনস্তার শিকার হতে হয় বলে মনে করেন ইসমত আরা।
ওসি মঞ্জুর কাদের ভুঁইয়া বলেন, এ চারজনের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। সম্পৃক্ততা না থাকলে আদালতের মাধ্যমে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হবে।
এজাহারভুক্ত বাকি দুইজনকে আটকে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান মঞ্জুর কাদের ভুঁইয়া।
রোববার (৫ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালীর সংযোগস্থল বদরখালী ব্রীজ সংলগ্ন প্যারাবনে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন এক নারী। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে মহেশখালীর নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন।