চন্দনাইশে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর ছোড়া অকটেনের আগুনে দগ্ধ হওয়া গৃহবধূ নাজমা আকতার (২০) মারা গেছেন। তিনি দুই সন্তানের জননী। গত শুক্রবার রাত ৩টার দিকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে বলে জানান তার বড় ভাই মোহাম্মদ তারেক। এ ঘটনায় তারেক বাদি হয়ে ঘটনার দিন রাতেই চন্দনাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ভোররাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক স্বামী আবদুল জব্বারকে জঙ্গল জামিজুরী পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
জানা যায়, আবদুল জব্বারের স্ত্রী নাজমা আকতার পারিবারিক কলহের জের ধরে ১ মাস আগে শ্বশুরবাড়ি দোহাজারী পৌরসভার জামিজুরী থেকে হাশিমপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ হাশিমপুর বাউলিয়াপাড়া গ্রামের বাপের বাড়ি চলে আসেন। শুক্রবার রান্নাঘরে কাজ করছিলেন নাজমা। স্বামী আবদুল জব্বার রান্নাঘরের পেছন দিক দিয়ে সাথে আনা অকটেন অতর্কিতভাবে তার গায়ে নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় আগুনে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা এবং বাড়ির সদস্যরা নাজমাকে উদ্ধার করে দ্রুত দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। দোহাজারী হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উর্মি চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, নাজমার শরীরের ৬০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। চেহারা পুড়ে কালো হয়ে গেছে। হাত, পা ও শ্বাসযন্ত্রসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়।
গৃহবধূ নাজমা বাউলিয়া পাড়া গ্রামের সেলিম উদ্দীনের মেয়ে। স্বামী আবদুল জব্বার দোহাজারী পৌরসভার জামিজুরী এলাকার আব্দুছ ছালাম ওরফে আবদুলের ছেলে। ৫ বছর আগে সামাজিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে। আবদুল জব্বার তার শ্বশুরবাড়ি গিয়েই স্ত্রীর সাথে ঝগড়ার এক পর্যায়ে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটায়।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমরান আল হোসাইন জানান, স্বামীর ছোড়া অকটেনের আগুনে দগ্ধ নাজমা গত রাত ৩টায় চমেক হাসপাতালে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ তারেক বাদি হয়ে চন্দনাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘাতক আবদুল জব্বারকে শনিবার ভোরে জঙ্গল জামিজুরী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান দেয়া হয়েছে।