বিপিএল উপলক্ষে তরুণ্যের উৎসব শিরোনামে জমজমাট কনসার্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে কাল। চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে বিকেলে শুরু হবে এই কনসার্ট। এটি নিচকই একটি কনসার্ট নয়। এই কনসার্টের মাধ্যমে বিপিএলের ঢংকা বেজে উঠবে চট্টগ্রামে। যদিও আর তিনদিন পর ঢাকায় মাঠে গড়াবে এবারের বিপিএল। এরপর সিলেট ঘুরে বিপিএল নোঙর করবে চট্টগ্রামে।
আগামীকালের কনসার্টে গান পরিবেশন করবে হাবিব ওয়াহিদ, ফুয়াদ এন্ড ফ্রেন্ডস, মুঝা, সঞ্জয়, এভয়েডরাফা। কনসার্টের টিকিটের তিনটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে। যেখানে প্লাটিনাম টিকিটের দাম রাখা হয়েছে ৪০০০ টাকা, গোল্ড ক্যাটাগরির টিকিটের দাম রাখা হয়েছে ১৫০০ টাকা। আর গ্যালারির টিকিটের দাম রাখা হয়েছে ৫০০ টাকা। আজ থেকে আউটার স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে টিকিট বিক্রি। দুপুর আড়াইটায় গেইট খোলা হবে। গেইট বন্ধ করা হবে বিকেল ৫টায়। গতকাল সিজেকেএস সম্মেলন কক্ষে কনসার্ট উপলক্ষে এক সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক মনজুর আলম মঞ্জু, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি লে: ক: খালেদ।
সমন্বয় সভায় সিটি মেয়র বলেন, চট্টগ্রামে এই কনসার্ট যথেষ্ট সাড়া ফেলতে সক্ষম হবে। তিনি সবাইকে শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান। সিটি মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের এই আয়োজন অবশ্যই মাইলফলক হয়ে থাকবে। চট্টগ্রামের মানুষ সংগীত প্রিয় সেটা প্রমাণ করতে হবে এই কনসার্টে। যেহেতু সামনে বিপিএল এই কনসার্টের মাধ্যমে আমরা চট্টগ্রামবাসীকে বিপিএলের বার্তাও পৌঁছে দেব। বিসিবি পরিচালক মনজুর আলম মঞ্জু বলেন, ঢাকা এবং সিলেটে সফল আয়োজনের পর চট্টগ্রামে এই কনসার্ট বিপিএলের প্রচারেও বড় ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সবসময় এগিয়ে থাকে। আমরা সবাই যে যার যার জায়গা থেকে এই কনসার্টকে সফল করার চেষ্টা করব। কনসার্টে প্রবেশের সময় নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। আর সে কারণে স্টেডিয়ামে প্রবেশের সময় ব্যাগ, পানির বোতল, ক্যামেরা, পতাকা, লাঠি, মাদক, এসব নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। কনসার্ট থাকবে মাদকমুক্ত। রাত ১১ টা পর্যন্ত চলবে এই কনসার্ট। কনসার্ট চলাকালে স্টেডিয়াম এলাকার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য, পুলিশ সদস্য, বিসিবির সিকিউরিটির সদস্য বৃন্দ।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে কনসার্টের প্রচার প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। আর এই কনসার্টের মাধ্যমে চট্টগ্রামের মানুষের কাছে বিপিএলের বার্তাটাও পৌঁছে যাবে। সবচাইতে বড় কথা যেটি তা হচ্ছে সবাইকে শৃঙ্খলা বজায় রেখে কনসার্ট উপভোগ করতে হবে।
সমন্বয় সভায় জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, দেশে পট পরিবর্তনের পর আমরা নতুন করে পথ চলা শুরু করেছি। তারুণ্যের উৎসব সে পথ চলারই একটি অংশ। এরই মধ্যে সরকারও দীর্ঘ মেয়াদী তারুণ্যের উৎসব ঘোষণা করেছে। সে লক্ষ্যে আমরাও কাজ করে যাচ্ছি। বিসিবি চট্টগ্রামে যে কনসার্টের আয়োজন করছে সেটা সফল করতে আমাদের সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। এরই মধ্যে কনসার্টের মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। কনসার্টের নিরাপত্তা যাতে কোনভাবে বিঘ্নিত না হয় সে জন্য আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী সবগুলো বাহিনীর সদস্যরা সচেষ্ট।
গতকাল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভায়ও কনসার্টের নিরাপত্তার ব্যাপারে সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানানো হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে এ ধরনের কোন কনসার্টের আয়োজন করছে। ফলে কনসার্টকে ঘিরে তরুণদের মাঝে বেশ সাড়া পড়েছে। এখন কেবল কনসার্ট সফল হওয়ার অপেক্ষা। গতকালের সমন্বয় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ সাদিউর রহিম জাদি, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া অফিসার আবদুল বারী, সিজেকেএস কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম, সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার আজম ইকবাল, সিজেকেএস কাউন্সিলর মশিউল আলম স্বপন, চট্টগ্রাম মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের কর্মকর্তা এজহারুল ইসলাম, আবু মোরশেদ, সাবেক ক্রিকেটার ওয়ালিউল আবেদীন চৌধুরী শাকিলসহ বিভিন্ন স্তরের ক্রীড়া সংগঠকবৃন্দ।