চট্টগ্রামে টিসিবির ৫ লাখ ৩৫ হাজার ‘ফ্যামিলি কার্ডের’ মধ্যে এখন পর্যন্ত ছবিসহ ‘স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডে’ রূপান্তর হয়েছে মাত্র ২ লাখ। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীতে (৪১ ওয়ার্ডে) ‘টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড’ হয়েছে মাত্র ৬৬ হাজার। আর উপজেলায় হয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার। টিসিবির চট্টগ্রাম অঞ্চলিক অফিস থেকে জানা যায়, টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের পণ্য বিক্রি ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। ডিসেম্বর পর্যন্ত আগের হাতে লেখা ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে পণ্য দেয়া হচ্ছে। টিসিবির আগের হাতে লেখা কার্ড গুলো থেকে যাচাই–বাছাই করে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের তালিকা করছেন উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা এবং নগরীতে ওয়ার্ড সচিবরা।
জানুয়ারি থেকে টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীরা সংশ্লিষ্ট ডিলারের মোবাইলে তাদের স্মার্ট কার্ড স্ক্যান করে তবেই পণ্য নিতে পারবেন বলে জানান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের অফিস প্রধান শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড গুলো ভোটার আইডি কার্ডের মতো। একবার স্ক্যান করে পণ্য নেয়ার পর দ্বিতীয়বার নিতে পারবেন না। টিসিবি গত ৪–৫ মাস ধরে আগের হাতের লেখা কার্ড গুলোকে তাদের ওয়েরসাইটে ডাটাবেইজ সিস্টেমে যুক্ত করার পাশাপাশি ছবিসহ ‘স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডে’ রূপান্তর করছে। এই ব্যাপারে টিসিবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের অফিস প্রধান শফিকুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, জানুয়ারি থেকে শুধুমাত্র ছবিসহ ‘স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড’ যাদের থাকবে তারাই টিসিবির পণ্য পাবে। চট্টগ্রামে টিসিবির ৫ লাখ ৩৫ হাজার ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যে এখন পর্যন্ত ছবিসহ ‘স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড’ হয়েছে মাত্র ২ লাখ। এরমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৬৬ হাজার এবং উপজেলায় ১ লাখ ৩৪ হাজার। ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ফ্যামিলি কার্ডধারীদের পাশাপাশি যাদের কার্ড নেই তারাও টিসিবির পণ্য পাচ্ছেন। কিন্তু জানুয়ারি থেকে ছবিসহ ‘স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীদের’ বাইরে কেউ টিসিবির পণ্য পাবেন না।
আগের হাতের লেখা টিসিবির সকল ফ্যামিলি কার্ড এখন ছবিসহ স্মার্ট ভোটার কার্ডের মতো করা হচ্ছে। সারাদেশের সব কার্ড করা হচ্ছে ঢাকায়। শফিকুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও হাতে লেখা কার্ড গুলো এনআইডি’র সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন করা হয়েছে। আগে দেখা গেছে, একই এনআইডি দিয়ে একই ব্যক্তি দুই জায়গায় দুটি কার্ড নিয়েছে। আবার একই পরিবারের ৩ জন সদস্য কার্ড বানিয়েছে। যখন আমরা আমাদের ওয়ের সাইটে এনআআইডি দিয়ে কার্ড গুলো এন্টি করতে গেছি তখন অনেক ভূয়া কার্ড শনাক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ফ্যামিলি কার্ডের এসব সমস্যা দূর করার জন্য একটি পরিবার যাতে একটি কার্ডের বেশি না পায়, সে জন্য স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, এখন এলাকা ভিত্তিক ‘টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড’ দেয়ার বিষয়টি দেখছেন উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওরা এবং চট্টগ্রাম সিটি এলাকায় ওয়ার্ড সচিবরা। উনারা যাদেরকে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের জন্য মনোনীত করছেন তাদের টিসিটির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড হচ্ছে। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে মাত্র ২ লাখ টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড হয়েছে। আরো হবে। উনারা যাচাই–বাছাই করে তালিকা করছেন।