ষড়যন্ত্রের ঘেরাটোপে পড়ে একযুগ আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো কক্সবাজার–মহেশখালী নৌ রুটের প্রধান নৌঘাট কক্সবাজার শহরের বদরমোকামস্থ কস্তুরাঘাট। এই ঘাট বন্ধ হওয়ার পর এই নৌ–রুটে চলাচলকারী অন্তত পাঁচলাখ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। তবে একযুগ পর আবার চালু হচ্ছে এই প্রাচীন নৌঘাটটি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঘাটটি চালুর কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার পৌরসভা।
সত্যতা নিশ্চিত করে পৌরসভার প্রশাসক ও জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ–পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হক জানান, গণঅভ্যুত্থানের পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও সাধারণ যাত্রীরা এই কস্তুরাঘাটটি পুনঃচালুর দাবির তুলেন। বিগত দুইমাস ধরে তারা দফায় দফায় এই দাবি জানান। এর প্রেক্ষিতে সামগ্রিক পরিস্থিতি যাচাই করে যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবের জন্য ঘাটটি পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে খননযন্ত্রসহ অবকাঠামো নির্মাণে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলা হয়েছে।
কক্সবাজার পৌরসভার দাপ্তরিক সূত্রে জানা গেছে, কস্তুরাঘাট চালুর জন্য অবকাঠামো নির্মাণ ও খাল খননসহ যাবতীয় ব্যয় বাবদ প্রাথমিকভাবে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এতে বাঁকখালী নদীর নিচের অংশে একটি জেটি নির্মাণ, বদরমোকাম থেকে জেটি পর্যন্ত একটি সড়ক ও জেটির দুপাশে খাল খনন করা হবে। এছাড়াও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোও তৈরি করা হবে।
মহেশখালী উপজেলার শিক্ষার্থী রুহুল আমিন বলেন, কস্তুরাঘাট দিয়ে মহেশখালী ও কুতুবদিয়া এবং সোনাদিয়ায় যাওয়া সহজ। শহরের সাথে লাগোয়া হওয়ায় হেঁটেই বোটে উঠা যায়। কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে শহরের ৬নং এলাকার একটি আওয়ামী চক্র এই নৌ–রুটটি তাদের কব্জায় রাখার জন্য ষড়যন্ত্র করে কস্তরাঘাটটি বন্ধ করে দিয়েছিলো।
মহেশখালীর বাসিন্দা হাসমত আলী বলেন, বহুদূর ঘুরে গাড়িতে করে ৬নং ঘাটে যেতে হয়। এতে নানাভাবে হয়রানি হতে হয়। হাঁটাপথে কস্তুরাঘাটে যেতে পারায় খুব সহজেই যাত্রীরা চলাচল করতে পারে। তাই ঘাটটি পুনরায় চালু হওয়ার খবরে ভালো লাগছে।
উক্ত নৌ রুটের স্পিড বোট মালিক সমিতির সভাপতি আতাউল্লাহ বোখারী বলেন, আমাদের সুবিধা–অসুবিধা কিছু নেই। যাত্রীদের সুবিধা হলে আমরাও সন্তুষ্ট।