গণভবনকে জাদুঘর করার প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন

| বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৬:০২ পূর্বাহ্ণ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দেওয়ার প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন পেয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। তাতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণভবনে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব বৈঠকে অনুমোদন পেয়েছে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবে।

৮ আগস্ট ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরেই গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তর করার আলোচনা ওঠে। গত ৫ সেপ্টেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান। এরপর গত ২ নভেম্বর লেখক ও গবেষক এবাদুর রহমানকে আহ্বায়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের’ কমিটি ঘোষণা করা হয়। উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের আগেই জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণের অনেক কাজ এগিয়ে নেয় সরকার। ইতোমধ্যে সেখানে বিভিন্ন স্মৃতি সংরক্ষণও করা হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী গোলাম নাফিজকে বহনকারী রিকশাটি সেখানে স্থান পেয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত অক্টোবরে গণভবন পরিদর্শনও করেন।

গণভবনের অবস্থান জাতীয় সংসদের উত্তর কোণে; শেরেবাংলা নগরে। সেখানে বসবাসকারী একমাত্র প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সরকারপ্রধান হিসেবে এখানেই ছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হলে ২০১০ সালে পরিবারসহ গণভবনে ওঠেন শেখ হাসিনা। সেই থেকে ৫ আগস্ট দেশ ছাড়ার আগ পর্যন্ত সেটিই ছিল তার ঠিকানা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকর্ণফুলীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই মাসতুতো ভাই
পরবর্তী নিবন্ধসরছে বন্দর ইয়ার্ডের ‘জঞ্জাল’