বৃহত্তর চট্টগ্রামে ২১৮ মেগাওয়াটের ৬টি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) তথ্যমতে, বিপিডিবির প্রাইভেট জেনারেশন বিভাগ এসব সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে টেন্ডার আহ্বান করেছে। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিশেষ করে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৪০টি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে শুরু হয়েছে দরপত্র আহ্বানের কার্যক্রম। যেসব কোম্পানি সর্বনিম্ন দর প্রস্তাব করবে এবং সর্বনিম্ন দামে বিদ্যুৎ দিতে পারবে সেসব প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে কাজ। সব মিলিয়ে ২০২৫ সালটি বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বছর হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিপিডিবির প্রাইভেট জেনারেশন বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী জানান, ইতোমধ্যে ১২টি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। যেসব সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে সেগুলো হলো হাটহাজারীতে ১৮ মেগাওয়াট গ্রিড সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র, ফটিকছড়িতে ৪৫ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র, চন্দ্রঘোনায় ২৫ মেগাওয়াট ও উখিয়ায় ৩০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র। এছাড়া কঙবাজার ও চকরিয়ায় ৫০ মেগাওয়াট করে আরো দুটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে।
বিপিডিবির প্রাইভেট জেনারেশন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এর আগে প্রতি ইউনিট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের দাম দেওয়া হতো ১৬ থেকে ১৮ সেন্ট। তবে সম্প্রতি যেসব কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে দাম দেওয়া হয়েছে ১০ থেকে সাড়ে ১০ সেন্ট।
এ ব্যাপারে বিপিডিবির পরিচালক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান আজাদীকে বলেন, সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো প্রাইভেট সেক্টরে নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রাইভেট কোম্পানিগুলো সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পর পিডিবি তাদের কাছ থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ কিনে নেবে। এসব প্রাইভেট পাওয়ার প্ল্যান্ট দেখাশোনার জন্য পিডিবির প্রাইভেট জেনারেশন বিভাগ রয়েছে। ওই বিভাগ এসব দেখাশোনা করে। তিনি জানান, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ৪০টি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে শুরু হয়েছে দরপত্র আহ্বান কার্যক্রম। এর মধ্যে ১২টির টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।