সীতাকুণ্ডে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জামায়াত ইসলামীর এক নেতার পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সীতাকুণ্ড পৌরসভার ডেবার পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদ উপজেলার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সহযোগী সংগঠন যুব বিভাগের সভাপতি।
আবুল কালাম আজাদের ভাষ্য মতে, রোববার রাতে একটি পিকআপ ভ্যান পৌরসভার হাসান গোমস্তা এলাকায় তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের খামারে মুরগির বাচ্চা নিয়ে আসে। এ সময় স্থানীয় অস্ত্রধারী ৪/৫ জন দুর্বৃত্ত পিকআপ ভ্যানটি আটকে দিয়ে চালকের কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে লাঠিসোঁটা ও লোহার রড দিয়ে মাথায় ও হাতে আঘাত করে। এরপর ঢেবার পাড় এলাকার ঘাটের কাছে নিয়ে গিয়ে আমার ডান পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে মৃত ভেবে ফেলে চলে যায়। স্থানীয় এক যুবক গভীর রাতে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে আমাকে দেখে উদ্ধার করে। সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমাকে ভর্তি করে।
এদিকে হামলার প্রতিবাদে পৌর জামায়াতের আমির হাফেজ আলী আকবরের নেতৃত্বে একটি মিছিল পৌর সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ তাহের, অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি কুতুব উদ্দিন শিবলী, শিল্প বাণিজ্য সেক্রেটারি শামছুল হুদা, রবি, রাফি, পেয়ারু আহমেদ, রাসেল প্রমুখ।
এদিকে উপজেলা আমির মাওলানা মিজানুর রহমানের অভিযোগ, বর্তমান ওসি সন্ত্রাসীদের পক্ষ নেওয়ায় পৌরসভাসহ সীতাকুণ্ডে একের পর এক আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিন দখল–বেদখল, চাঁদাবাজি এবং খুন খারাবি হচ্ছে। ইতিপূর্বে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা অথবা অভিযোগ দিলেও তিনি সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে কোনো ধরনের প্রদক্ষেপ নেননি।
জামায়াত নেতার অভিযোগ প্রসঙ্গে সীতাকুণ্ড থানার ওসি মুজিবর রহমান বলেন, মাদক ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টরারেন্স। অপরাধীদের ধরতে আমাদের অভিযান চলছে। আমরা চেষ্টা করছি। চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। আমাদের সক্ষমতার কারণে হয়তো টহল দেওয়াটা দুর্বল হচ্ছে। এটার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। টহল জোরদার করার মাধ্যমে এলাকার এই অবস্থার নিরসন করা হবে।
উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা তাওহীদুল হক চৌধুরী ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, হামলাকারী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার না করলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য প্রশাসন দায়ী থাকবে।
মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মজিবর রহমান বলেন, তারা মামলা করলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেব।