দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি আর নগরায়নের চাপে থাকা চট্টগ্রামকে পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়তে চান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। আর এ জন্য নগরবাসীর সহায়তা চান মেয়র।
গতকাল শুক্রবার চিটাগাং পুলিশ ইন্সটিটিউশনের সিএমপি স্কুল এন্ড কলেজ এসএসসি ১৯৯৯ ব্যাচের আয়োজনে রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান–২০২৪ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামের দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যা, শিল্পায়ন ও নগরায়নের চাপ সামলানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সুপরিকল্পনার অভাবে চট্টগ্রামের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও চট্টগ্রাম এখন জলাবদ্ধতা, বর্জ্য আর যানজটে ভুগছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জনগণের সহায়তা চাই। চট্টগ্রামকে সুন্দরভাবে সাজানোর চেষ্টা করছি। সেজন্য আপনারা আমাকে রাস্তায় রাস্তায় দেখছেন। আগে যারা ছিল তারা হয়তো রাস্তায় রাস্তায় আসতো না। কিন্তু আমি বাধ্য হয়েছি রাস্তায় আসতে। জনগণের খেদমত করতে এখানে এসেছি। আমি আগেও বলেছি আমি কোন জনগণের পিতা নয়, জনগণের সেবক হতে এসেছি।
সুস্থ বিনোদনের সুযোগ বাড়াতে কাজ চলছে জানিয়ে মেয়র বলেন, আমি চসিকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রকল্প নিচ্ছি নাগরিকদের সুস্থ বিনোদন সুবিধা বৃদ্ধিতে। এছাড়া রেলওয়ে, গণপূর্তসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলোর সাথেও ভূমি বরাদ্দের জন্য যোগাযোগ করেছি। আগ্রাবাদ শিশু পার্ক, জিয়া শিশু পার্ক, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা কমপ্লেক্স নগরবাসীর জন্য উন্মুক্ত করতে পদক্ষেপ নিয়েছি। আমি বিপ্লব উদ্যানে একটা স্ট্রাকচার করা হচ্ছিল সেটি ভেঙে গ্রিন পার্ক করার উদ্যেগ নিয়েছি। কারণ আমি দেখেছি শিশুদের খেলার অধিকার নিয়েও বৈষম্য তৈরি হয়েছে। টার্ফ গড়ে উঠার কারণে অস্বচ্ছল ঘরের ছেলেরা খেলতে পারছে না। এ কারণে আমার ইচ্ছা প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ নিশ্চিত করা। সিএমপি স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক বেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার পংকজ দত্ত, প্রাক্তন শিক্ষক ফরিদ আহমেদ, নুর মোহাম্মদ, মো. শামসুল আলম, উম্মে হাবীবা, সামসুন নাহার, সাধন চন্দ্র মহাজন, আবদুল হান্নান মিরন, আয়োজক ৯৯ ব্যাচের ছাত্র বখতেয়ার হোসেন, নুরু হোসেন নুরু, কামরুল হাসান সাগর, মারুফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, মঞ্জুরুল হাসান, কামরুল হাসান সোহাগ, মমতাজ আক্তার, সিএমপি স্কুল এন্ড কলেজের ৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।