বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাশের জামিন নামঞ্জুরকে কেন্দ্র করে আদালত পাড়ায় তাণ্ডব ও আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ খুনের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয়েছে। ঘটনায় কোনো আইনজীবী জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখতে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি কর্তৃক গঠন করা তদন্ত টিমের প্রধান আইনজীবী আবদুস সাত্তার এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আরজি জানিয়ে সমিতি বরাবর বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে এ মতামত দিয়েছেন। একজন জেলা জজ পদমর্যাদার কাউকে দিয়ে এ ঘটনা তদন্ত করতে বলা হয়েছে। একই সাথে তিনি তদন্ত টিম থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদনও করেছেন।
এ বিষয়ে তদন্ত টিমের প্রধান আইনজীবী আবদুস সাত্তার দৈনিক আজাদীকে বলেন, ১০ নভেম্বর তদন্ত কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ১৫ নভেম্বর রিপোর্ট দিতে বলা হয়। এর মধ্যে সদস্য সচিবসহ চারজন পদত্যাগ করেছেন। আসলে এটি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে ৭ টি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী জড়িত থাকতে পারে। পুলিশের মাইক দিয়ে প্রিজন ভ্যানে থাকা অবস্থায় চিন্ময় বক্তব্য দিয়েছিলেন। ১ ঘণ্টার মধ্যে মামলার নকল নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এমন অবস্থায় এ ঘটনা সাধারণ কেউ তদন্ত করলে হবে, সেটি মনে করছি না। এটি একজন জেলা জজ পদমর্যাদার কেউ তদন্ত করুক সেটিই আমাদের প্রত্যাশা। আমরা সমিতির কাছে এরকম অবজারভেশন দিয়েছি এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেছি। পাশাপাশি তদন্ত টিম থেকে অব্যাহতি চেয়েছি। এ বিষয়ে রোববার হয়তো সমিতি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক দৈনিক আজাদীকে বলেন, তদন্ত টিমের চারজন সদস্য পদত্যাগ করেছেন শুনেছি। অন্য কোনো কিছু আমার জানা নাই। কোনো কাগজপত্র পাইনি। রোববার বিষয়টি দেখব।
সমিতি সূত্র জানায়, আদালত পাড়ায় তাণ্ডব ও আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ খুনের ঘটনার পর সংবাদ সম্মেলন করে জেলা আইনজীবী সমিতি। তখন আইনজীবী আবদুস সাত্তারকে প্রধান করে ঘটনা তদন্তের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিমটি গঠন করা হয়।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের জামিন নামঞ্জুর হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত পাড়ায় বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক হামলা, ভাঙচুরের পর আদালতের প্রবেশ গেটের অদূরে খুন হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ।