ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরটা অম্ল মধুর হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য। টেস্ট সিরিজ ড্র করার পর প্রত্যশা আরো বেড়েছিল ওয়ানডে সিরিজকে ঘিরে। কিন্তু সে ওয়ানডে সিরিজে হতাশ করল টাইগাররা। দীর্ঘ দশ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হল বাংলাদেশ। এই সিরিজের ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতে এবার টি–টোয়েন্টি পরীক্ষা দিতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। এমনিতেই ক্যারিবীয়রা টি–টোয়েন্টিতে বেশ দক্ষ। তারপরও ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশের দুঃস্মৃতিকে পেছনে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় দিয়ে তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করার লক্ষ্য নিয়ে আজ সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায়। অবশ্য টি–টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখনো খর্ব শক্তির দল হিসেবেই বিবেচিত টাইগাররা। টি–টোয়েন্টি ফরম্যাটে পাওয়ার–হিটার দল হিসেবে খ্যাতি আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তারপরও ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ভালো খেলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সংক্ষিপ্ত ভার্সনে সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় টি–টোয়েন্টি ফরম্যাটের অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, আমরা ভালো করেই জানি টি–টোয়েন্টি ম্যাচগুলো আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। তার উপর ম্যাচটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। এটা আমাদের জন্য কঠিন হবে। আমরা কিভাবে এটি কাটিয়ে উঠতে পারি–তা বোঝার চেষ্টা করবো এবং সিরিজে ভালো খেলার দিকে মনোনিবেশ করবো।
কিংসটাউনের ভেন্যুতে এ বছর টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেপাল এবং নেদারল্যাসন্ডের বিপক্ষে জয় পেয়েছিলো বাংলাদেশ। ঐ দুই জয় বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে টাইগারদের। যদিও এবারে প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেস্ট ও ওয়ানডেতে সবসময় জ্বলে উঠতে না পারলেও, টি–টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয় দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড় বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে থাকে এবং ঐ সব টুর্নামেন্টে তাদের চাহিদা সবসময়ই বেশি থাকে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় দিয়ে টেস্ট শুরু করলেও ১–১ সমতায় শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে ওয়ানডে সিরিজে টাইহগারদের হোয়াইটওয়াশ করে ক্যারিবীয়রা। তবে টি–টোয়েন্টিতে একেবারে ফেভারিটের তকমা নিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরিসংখ্যানও তাদের পক্ষে কথা বলে। ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ভার্সনে এ পর্যন্ত ১৬ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরমধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে পাঁচটিতে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় ৯টিতে। দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। কিন্তু দুই দলের সর্বশেষ পাঁচ মোকাবেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় আছে চারটিতে। মাত্র ১টি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ চার ম্যাচের সবগুলোতেই হেরেছে টাইগাররা।
প্রথম টি–টোয়েন্টির আগে বৃষ্টির কারণে অনুশীলনে ব্যাঘাত ঘটলেও ম্যাচে কোন প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন লিটন। তিনি বলেন, কোন সমস্যা নেই । কারণ আগের দিনও আমরা ফ্লাড লাইটে ফিল্ডিং অনুশীলন করেছি। এই দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই ওয়ানডে এবং টেস্ট সিরিজে খেলেছে। তারা খেলার মধ্যেই ছিলো।
এদিকে দলের প্রধান দুই খেলোয়াড় শাই হোপ ও শেরফানে রাদারফোর্ডকে ছাড়াই টি–টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করবে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুজনই বিগ ব্যাশ লিগ নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে না উঠায় সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন মারকুটে ওপেনার এভিন লুইসও। তারপরও বাংলাদেশের কঠিন পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত ক্যারিবীয়রা।