বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে সমপ্রতি ৪০ হাজার কোটি ডলার সম্পদের মাইলফলক ছুঁয়েছেন স্পেসএক্স ও টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক। এই বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়ে ইতিহাস গড়লেন তিনি। ব্লুমবার্গের বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স–এর তথ্য অনুসারে, গত মাসে মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। খবর বিডিনিউজের। বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি হিসেবে এই তালিকায় আছেন অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। যার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার কোটি ডলার। এক্ষেত্রে বেজোসের চেয়ে মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ১৫ হাজার কোটি ডলার বেশি।২২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মেটা’র সিইও মার্ক জাকারবার্গ। এ তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছেন ওরাকলের সহ–প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন, যার সম্পদের মূল্য ১৯ হাজার আটশো কোটি ডলার।
তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন ফরাসি ফ্যাশন টাইকুন বেরনার্ড আর্নো, যার সম্পদের পরিমাণ ১৮ হাজার একশো কোটি ডলার। এর আগে অল্প সময়ের জন্য বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিও ছিলেন তিনি। কিন্তু মাস্কের সম্পদের পরিমাণ কীভাবে ৪৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেল? এর মানেই বা কী?
ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ বাড়ল কেন? : আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিবিএস বলেছে, স্পেসএঙ–এর শেয়ার বিক্রির পর মাস্কের সম্পদের পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার কোটি ডলার বেড়েছে।
ফোর্বস প্রতিবেদনে লিখেছে, নিজেদের মধ্যে এমন এক শেয়ার বাইব্যাক চুক্তি করতে রাজি হয়েছে স্পেসএক্স ও এর বিনিয়োগকারীরা, যার মাধ্যমে কোম্পানিটির মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার কোটি ডলার। ফলে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান ব্যক্তিমালিকানাধীন কোম্পানি হয়ে উঠেছে স্পেসএক্স।
এই চুক্তির আওতায় স্পেসএক্স–এ মাস্কের শেয়ারের পরিমাণ ৪২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। এর আগে স্পেসএক্স’–এর পুরো কোম্পানির মূল্য ছিল ২১ হাজার কোটি ডলার। বর্তমানে কর্মী ও কোম্পানির অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১২৫ কোটি ডলারের শেয়ার স্পেসএক্স কিনে নিয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ফার্স্টপোস্ট।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর মাস্কের ভাগ্যও অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় শত শত কোটি ডলারের তহবিল দেওয়ার পাশাপাশি তার সঙ্গে প্রচারণায়ও চালিয়েছেন মাস্ক। এই মুহূর্তে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ লোক মাস্ক।