চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) গভীর রাতে দুই শিক্ষার্থীর ওপর দুর্বৃত্তের হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দফতরের পাশে এ ঘটনা ঘটে। হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা গতকাল সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় আধা ঘণ্টা তালা লাগানো ছিল। এরপর প্রশাসনের আশ্বাসে তালা খুলে দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে বিচারের দাবি জানান। এর আগে হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দুপুর ২টার দিকে চবির জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্র্থীরা। এছাড়া হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে চবি শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এবং চবি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির। হামলায় জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়েছে সংগঠন দুইটি।
আহত দুই শিক্ষার্থী হলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০২৩–২৪ সেশনের মহিবুল ইসলাম মহিব ও নিরব আহমেদ।
এদিকে গতকাল শুক্রবার বিকালে চবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবাদ জানানো হয়। পাশাপাশি শাখা ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক সাঈদ বিন হাবিব স্বাক্ষরিত পৃথক বিবৃতিতে এ ঘটনার প্রতিবাদ এবং বিচার দাবি করা হয়।
দুপুরে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদী মানববন্ধনে ইসলামী ছাত্রশিবির চবি শাখার অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ওবায়দুল্লাহ বলেন, নিরাপত্তা দফতরের সামনে হামলা হয়েছে। যেখানে সবসময় প্রহরীরা থাকেন। দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে পালিয়ে গেছে কিন্তু প্রহরীরা তাদের ধরতে পারেননি। এটা দুঃখজনক। মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, গত রাতে নবীন দুইজন শিক্ষার্থী হামলার শিকার হয়েছেন। তারা কয় মাস হলো ক্যাম্পাসে এসেছেন। তাদের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চায় একটি গ্রুপ।
এদিকে ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা জানান, মাফলার এবং মুখোশ পরিহিত ৫–৬ জন দুর্বৃত্ত অতর্কিতভাবে তাদের ওপর হামলা করে। এসময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানোর কথাও জানান তারা।
এ বিষয়ে নিরাপত্তা দফতরের প্রধান গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমরা ঘটনাটি জানার পরপরই ঘটনাস্থলে একটি টিম পাঠাই। তারা আশেপাশের পাহাড়ে অভিযান চালিয়েছে কিন্তু তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।
চবি প্রক্টর প্রফেসর ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, আমরা সবগুলো সিসিটিভি ফুটেজ চেক করছি। অপরাধী যেই হোক তাকে রোববারের মধ্যেই শনাক্ত করার চেষ্টা করবো। আইনের আওতায় এনে অবশ্যই অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।