সাইফুল আলম ও তার ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধে নারীর মামলা

২৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৮:৫৩ পূর্বাহ্ণ

জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ২৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ ও তার ব্যক্তিগত সহকারী আকিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছে এক নারী। নাজমে নওরোজ নামের এ নারী নিজেকে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি নগরীর পাঁচলাইশের নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা এবং এস এস খালেদ রোডের লা এরিস্ট্রোক্রেসি রেস্টুরেন্টের মালিক। গতকাল চটট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে নাজমে নওরোজ মামলাটি দায়ের করেছেন।

আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী শুভঙ্কর ঘোষ দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার আরজিতে বলা হয়, বাদী ২০০৮ সাল থেকে সুনামের সাথে লা এরিস্ট্রোক্রেসি রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করে আসছেন। এর মধ্যে সাইফুল আলম মাসুদের সাথে তার পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে সাইফুল আলম তাকে ব্যবসায়িক উন্নতির জন্য ২ কোটি টাকা ঋণ হিসাবে প্রদানের আশ্বাস দেন এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক কাজীর দেউরী মহিলা শাখা থেকে ২ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করেন। পরবর্তীতে সাইফুল আলম মাসুদ বাদীর সাথে আকিজ উদ্দিনকে তার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। এই আকিজ উদ্দিন বাদীকে আরো ঋণ প্রদানের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। একপর্যায়ে ২০১৬ সালের ১ম দিকে আকিজ উদ্দিন বাদীকে ব্যবসায়িক পরিধি বৃদ্ধির জন্য জাহাজ ও জমি ক্রয়ে বিনিয়োগ করতে বলেন। বিনিয়োগ করার মতো এতো টাকা নেই বললে আকিজ উদ্দিন বাদীকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক কাজীর দেউরী মহিলা শাখায় গিয়ে বাড়তি ঋণ প্রদানের আবেদন করতে বলেন। এর ভিত্তিতে বাদী ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক কাজীর দেউরী মহিলা শাখায় বাড়তি ঋণের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ব্যাংক ম্যানেজার বাদীকে ঋণ প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করে। বিষয়টি বাদী আকিজ উদ্দিনকে জানালে তিনি ব্যাংক ম্যানেজারকে ফোন দেন এবং বলেন এটা চেয়ারম্যান স্যার তথা সাইফুল ইসলাম মাসুদের নির্দেশ।

আরজিতে আরো বলা হয়, এভাবে ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক কাজীর দেউরী মহিলা থেকে বাদী ৩০ কোটি টাকা ঋণ নেন। পরবর্তীতে আকিজ উদ্দিন ও সাইফুল আলম ব্যাংকে ঋণের বিপরীতে থাকা বাদীর সই করা খালি চেকের মাধ্যমে ও ধার হিসেবে বাদীর কাছ থেকে ২৯ কোটি টাকা গ্রহণ করেছেন। গত ২২ জুলাই উক্ত টাকাগুলো ফেরত চাইলে বাদীকে অপহরণের হুমকি দেওয়া হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসন্দ্বীপ চ্যানেলে ১৩০ যাত্রী নিয়ে বিকল সার্ভিস বোট, পরে উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধচিন্ময়ের ঢাকার আইনজীবীর আবেদন নথিভুক্ত, শুনানি ২ জানুয়ারিই