সভাপতি পদে তিন প্রার্থীর উপস্থিতিতে ভোট পুনঃগণনার নির্দেশ

খাদ্য পরিবহন ঠিকাদার সমিতি

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৭:৩৭ পূর্বাহ্ণ

খাদ্য পরিবহন ঠিকাদার সমিতির নির্বাচনে সিলগালা করে রাখা ব্যালট সভাপতি পদের তিন প্রার্থীর উপস্থিতিতে পুনঃগণনার নির্দেশনা দিয়েছে শ্রম অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন মো. গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশন আগামীকাল ১২ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় তিন সভাপতি প্রার্থীর উপস্থিতিতে ভোট পুনঃগণনার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

গত ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ খাদ্য পরিবহন ঠিকাদার সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সমিতির ১৮ পদের বিপরীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা এককভাবে এক প্যানেলে এবং বিএনপিজামায়াতে ইসলামী সমর্থিত প্রার্থীরা দুই দল মিলে অপর প্যানেলে নির্বাচন করে। কিন্তু নির্বাচনের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও ফলাফল ঘোষণার আগে বহিরাগতদের হামলা ঠেকাতে ভোটের বাঙ সিলগালা করে রেখে দেয় নির্বাচন কমিশন। গতকাল পর্যন্ত এই ফলাফল আর প্রকাশ করা হয়নি। শ্রম অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হয়, ৩০ নভেম্বর সমিতির নির্বাচন গোপন ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে ফলাফল ঘোষণা করা যায়নি বলে জানা যায়। এর মধ্যে একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়। জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নির্দেশনা মতে, গ্রহণযোগ্য ফলাফল নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে সভাপতি পদে তিন প্রার্থীর উপস্থিতিতে ভোট পুনঃগণনা করে ফলাফল ঘোষণার করার কথা বলা হয়। সমিতির নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এই নির্দেশনা দিয়েছে শ্রম অধিদপ্তর।

উল্লেখ্য, ১৪ বছর ধরে নির্বাচন হয়নি খাদ্য পরিবহন ঠিকাদার সমিতির। দীর্ঘদিন ধরে সভাপতির পদ দখলে রেখেছিলেন যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক। গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট সৈয়দ মাহমুদুল হক আত্মগোপনে চলে যান। ইতোমধ্যে তাকে গণহত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি করা হয়েছে।

নির্বাচনে সৈয়দ মাহমুদুল হকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও আবুল মনসুরের নেতৃত্বে বিএনপিজামায়াতে ইসলামী সমর্থিত দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলকে বিজয়ী করার জন্য অনিয়মের অভিযোগ করা হয়। তাই তিন সভাপতি প্রার্থীর উপস্থিতিতে ভোট পুনঃগণনার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছিলেন সভাপতি প্রার্থী আবুল মনসুর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাড়িভাড়ার ওপর গৃহকর মূল্যায়ন বাতিলের দাবি
পরবর্তী নিবন্ধ‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান ঘোষণার রায় স্থগিত