বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলের অন্যতম সিনিয়র সদস্য জাহনারা আলম। কিন্তু দলে তার জায়গাটা কখনোই পাকাপোক্ত ছিলনা। নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্কোয়াডে থাকলেও একটি ম্যাচেও খেলা হয়নি জাহানারা আলমের। মাঝে বছরখানেক বিরতি দিয়ে জাতীয় দলে ফেরার পর অনেকটাই অনিয়মিত তিনি। তবে সিলেটে আয়ারল্যান্ড নারী দলের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজে সুযোগ পেয়েছেন জাহানারা। কিন্তু ফেরার ম্যাচটাকে স্মরণীয় করে রাখতে পারেনি এই অল রাউন্ডার। একাদশে ফেরার ম্যাচে আয়ারল্যান্ড নারী দলের বিপক্ষে ৪ ওভার বল করে ৩৫ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন এই পেসার। দলও ম্যাচ হেরেছে ১২ রানে। একাদশে ফেরার আনন্দ থাকলেও দলের হার সেটি কিছুটা ম্লান করে দিয়েছে বলে জানান জাহানারা আলম। বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এসব নিয়ে কথা বলেছেন এই অর রাউন্ডার। জাহানারা বলেন, সবই ঠিক আছে, দলে থাকার ব্যাপারটি সবসময় যে মনের মতো হবে ব্যাপারটা আসলে এমন না। যা কিছু আপনার নসিবে লেখা আছে সেটাই হবে। দলে ফিরতে পেরেছি তাতে আমি যথেষ্ট খুশি। কিন্তু খুশিটা খুব বেশি হতে পারছি না, কারণ প্রথম ম্যাচের ফল আমাদের পক্ষে আসেনি। তবে শুরুটা ভালো হয়েছে। ব্যাটিংয়ে আমাদের চারজন খেলোয়াড় দারুণ স্কোর করেছে। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে আমার বিশ্বাস সিরিজটা আমরা জিততে পারব এবং সেই বিশ্বাসটা আমাদের সকলের মধ্যে রয়েছে। অথচ ঢাকায় এই আয়ারল্যান্ড নারী দলকে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু টি–টোয়েন্টির শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছে স্বাগতিক নারীরা। ১৭০ রান তাড়া করতে নেমে পারেনি স্বাগতিক মেয়েরা। এক সময় ভালো অবস্থায় থেকেও পায়নি জয়ের দেখা। এ নিয়েও কথা বলেছেন জাহানারা। তিনি বলেন, ১৬৯ রান, ১৭০ টার্গেট, এটা আমার কাছে মনে হচ্ছে আমরা যদি শুরুটা ভালো করি এবং পাওয়ার প্লেটা ভালোভাবে কাজে লাগাই তাহলে সম্ভব। ১০–১১ ওভারে আমরা শতরানের বেশি করেছিলাম। এটা আমাদের জন্য বড় একটি সংগ্রহ ছিল। ওপেনিং জুটি বলতে পারেন অসাধারণ ছিল। মাঝখানে শারমিন এবং তাজ নেহারও ভাল ব্যাটিং করে। কিন্তু শেষের দিকে আমরা দ্রুত উইকেট হারিয়ে ফেলি। তারপরও আমরা আশাবাদী ছিলাম ম্যাচটা জিতব। কিন্তু শেষের দিকে হয়ত কিছু ভুলের কারণে ম্যাচটা আমরা হেরে গেছি। আমাদের চারজন ব্যাটার ছন্দে ফেরাতে পরের ম্যাচগুলো নিয়ে আমরা খুবই আশাবাদী। এই অল রাউন্ডার মনে করেন সবকিছু আসলে আপনি চাইলে হবেনা। ভাগ্যেও থাকতে হবে। তাই আমি মনে করি নিজের চেষ্টার পাশাপাশি ভাগ্যেও বিশ্বাস করতে হবে। তাই আমিও এখন সবকিছু ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছি। দেখি পরের ম্যাচে যদি সুযোগ পাই তাহলে সেটা কতটা কাজে লাগাতে পারি।