রাউজান কলেজ মাঠে বিজয় মেলার আয়োজন নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে গতকাল মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষে আহত হয়েছে ৯ জন।
জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার ও দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সমর্থকরা কলেজ মাঠে বিজয় মেলা আয়োজনের অনুমতির জন্য প্রশাসনের কাছে পৃথক পৃথক আবেদন করে। উপজেলা প্রশাসন কোনো পক্ষের আবেদনেই সাড়া দেয়নি। এ কারণে উভয় পক্ষ এই নিয়ে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সমর্থকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি না পেয়ে উপজেলা চত্বরে বিক্ষোভ করে। গতকাল শুক্রবার বিকালে গোলাম আকবর খোন্দকারের সমর্থকগণ নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে মেলা আয়োজনের অনুমতি চাইতে গিয়ে ব্যর্থ হলে তারাও ইউএনও’র বাসার অদুরে রাউজান স্কুলের সামনে সমবেত হয়ে মিছিল করার উদ্যোগ নেয়। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ গিয়াস কাদের চৌধুরীর সমর্থিত কিছু নেতাকর্মী সেখানে গিয়ে মেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তর্কবিতর্কে লিপ্ত হয় খোন্দকার সমর্থকদের সাথে। এক সময় উভয় পক্ষ জড়িয়ে পড়ে মারামারিতে। এই ঘটনায় আহত হন গোলাম আকবর খোন্দকার সমর্থক রাউজান উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রহীম উদ্দিন ওয়াসিম, পৌর যুব ও ছাত্রদলের মোহাম্মদ রিদোয়ান, আবদুস ছালাম, মোহাম্মদ আলমগীর, মোহাম্মদ ছৈয়দ ও মোহাম্মদ রাকিব। গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে আহত হন সাইফুদ্দিন রিবন, মোহাম্মদ আলমগীর ও মোহাম্মদ রুবেল।
ঘটনা প্রসঙ্গে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে বিজয় মেলার অনুমতি চাইতে গিয়েছিলাম। রহস্যজনক কারণে তিনি অনুমতি না দেয়ায় আমরা প্রতিবাদ জানাতে রাউজান স্কুলের সামনে সমবেত হয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিল করে মুন্সিরঘাটার দিকে অগ্রসর হচ্ছিলাম। এসময় গিয়াস কাদের চৌধুরী সমর্থকরা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে ছয়জনকে আহত করে।
অপর দিকে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সমর্থক উত্তর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি সাবের সুলতান কাজল বলেন, খন্দকার সমর্থক লোকজন পতিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের সংগঠিত করে রাউজানে মহড়া দিয়ে আতংক সৃষ্টির চেষ্টা করছিল। এলাকার মানুষ তাদেরকে সেখান থেকে হটিয়ে দিয়েছে। তাদের হামলায় তাদের তিন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম শফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ উপস্থিত হলে তারা চলে যায়।