সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা রক্ষা ও দেশের ক্রান্তিলগ্নে অগ্রণী ভূমিকা পালনসহ বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর–বিএনসিসির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তিনি ‘অভিভূত’ বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার–উজ–জামান। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় বিএনসিসির ট্রেনিং একাডেমির ভবন উদ্বোধনে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সামাজিক ও জাতীয় পর্যায়ে বিএনসিসি ক্যাডারদের অগ্রণী ভূমিকার প্রশংসা করে সেনাপ্রধান বলেন, বিএনসিসির সদস্যরা সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি দেশের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা রক্ষা ও দেশের যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশেষ করে, ৫ আগস্ট পরবর্তী ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন কাজে সহায়তা করেছে। বন্যার সময়ও তারা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে, ত্রাণ বিতরণ করেছে। তাদের কর্মকাণ্ডে আমি অভিভূত। একাডেমির ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে বিএনসিসির একদল ক্যাডেট সেনা প্রধানকে গার্ড অব অনার দেন। পরে ফলক উন্মোচন শেষে বিএনসিসি ট্রেনিং একাডেমিতে বৃক্ষরোপণ করেন এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন সেনা প্রধান। খবর বিডিনিউজের। এরপর তিনি বিএনসিসিতে কর্মরত সামরিক অফিসার, বিএনসিসি অফিসার, প্রফেসর আন্ডার অফিসার, টিচার আন্ডার অফিসার ও বিএনসিসি ক্যাডেটদের সামনে দিক–নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার–উজ–জামান তার বক্তব্যের শুরুতে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ক্যাডেটসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও গত জুলাই–অগাস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র–জনতার আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। বক্তব্যে সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি দেশের নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা রক্ষা ও যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে বিএনসিসি ক্যাডেটদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন সেনা প্রধান।
এ সময় সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. মাসুদুর রহমান, ৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান, বিএনসিসি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মিজানুর রহমানসহ সশস্ত্র বাহিনীর ঊচ্চপদের কর্মকর্তা ও বিএনসিসির কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।












