প্রশ্ন ফাঁসে চবি সাংবাদিকতা বিভাগের একটি পরীক্ষা স্থগিত

তদন্তে কমিটি

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৫:১৫ পূর্বাহ্ণ

প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের একটি কোর্সের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ৪২১ নাম্বার কোর্সের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠার পর প্রাথমিক অনুসন্ধানে পরীক্ষার পূর্বে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সাথে পরীক্ষায় সরবরাহকৃত প্রশ্নের শতভাগ মিল পায়।

এরই প্রেক্ষিতে এই কোর্সের পরীক্ষা গতকাল স্থগিত করা হয় এবং এই ঘটনায় গতকাল বিকেল ৫টায় জরুরি সিন্ডেকেট সভা আহ্বান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ পেয়ে চবি উপাচার্য, উপ উপাচার্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন বেশ কয়েকজন ওই বিভাগে গিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বলে সূত্র জানায়।

সূত্র জানিয়েছে, গত ২৩ অক্টোবর যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার বিভাগটির শেষ পরীক্ষা ছিল। গত বুধবার বিকেলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে একটি উড়োচিঠি আসে। চিঠিতে ওই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সব কোর্সের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। উড়োচিঠিতে বলা হয় যে, একজন শিক্ষক তার অনুগত শিক্ষার্থীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য প্রশ্নপত্র ফাঁস করছেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সাথে চিঠির প্রশ্নের যাচাই করতে গেলে হুবহু মিল পাওয়া যায়।

শিক্ষার্থীরা জানান, নির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী আমরা পরীক্ষা হলে যাই। সাড়ে ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ১০.৩১ মিনিটে আমাদের আলী আজগর চৌধুরী স্যার এসে জানান পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে এটি নেওয়া হবে। তারপর আমরা জানতে পারি প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি রওশন আক্তার বলেন, পরীক্ষা কমিটির সুপারিশে আমরা পরীক্ষাটি স্থগিত করেছি। এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ নেবে।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, একটি উড়ো এসেছে। চিঠিতে কারও নাম ছিল না। যেহেতু অভিযোগ ছিল, তাই তারা সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য বিভাগে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে প্রশ্নপত্রের সঙ্গে অভিযোগে দেওয়া প্রশ্নপত্রের শতভাগ মিল পান। পরে পরীক্ষা কমিটি এই পরীক্ষা স্থগিত করে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় জরুরি সিন্ডেকেট সভা আহ্বান করে ইতিমধ্যে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলআমীন, সদস্য আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর সাইদুর রহমান চৌধুরী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন শিক্ষক নিয়োগ শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. হাছান মিয়া।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজামিন পেলেন না সাবেক আইজিপি বেনজীরের ক্যাশিয়ার জসিম
পরবর্তী নিবন্ধআমিরাতে সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন ৫০ হাজার বাংলাদেশি