শামুকের মতো মুখ থুবড়ে পড়ে আছি
কত শত প্রাচীনকাল,
অচেনা পাখিরা আসে আর যায়,
দিগন্ত সীমারেখার
বসত বাড়িতে বাস করে নিরালায়, নিরন্তর।
ও পাখি আবার যদি আসো, প্রেমের প্রীতি নিয়ে
রাশিদা বানুকে ফুল তোলা রুমাল দিয়ে আমার
চোখের জলের খবর দিও।
কতকাল ওকে ছুঁয়ে দেখি না,
ওর হাতের কাঁকনে
আমার বাগানের হাস্নাহেনা ফুটে না।
ওর খোলা চুলে আমার বুকের ঘ্রাণ ;
প্রাণ হয়ে আসে না!
চোখের গভীরে মধুরসে ঠোঁটের সীমানা
ভিজে ভিজে জমা মেঘে বৃষ্টি ঝরে না।
রানি মৌমাছি বৌদ্ধবিহারের পূর্রাকৃর্তির
মত নিঃসঙ্গ জীবন পার করে।
রাশিদা বানু, আহারে রাশিদা বানু – বুঝলে না
জীবন কেমন করে চাতক পাখির ফসিল হয়ে
ধানেশ পাখির ঠোঁটের মতো বাস করে,
পৃথিবীর গর্ভে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া
অশোক শহরের আদি নগরে।
চেনা পাখিরা আজীন পরাধীন,
বন্দী থাকে তাঁহার আঁচলের গিঁটে।
এক টুকরো খুচরো পয়সার মতো,
সে যতন করে রাখে জন্মের দাগ
যেমন করে লেগে থাকে,
ঠিক তেমন অবয়বে।
আমি জীবনান্দ হতে পারতাম
অথবা শরৎ বাবুর দেবদাস।
কিন্ত হইনি কিছুই, হতে পারিনি
তোমার পথ চেয়ে চেয়ে।
রাশিদা বানু, একজীবনে তোমার জন্য
নষ্ট হলো চোখের সমুদ্র,
একূল– ওকূল– আমার সবকূল!