টেস্ট ক্রিকেটে অনেক সময় ফিফটি করে আউট হয়ে যাওয়া অনেকটা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। তবে দলের প্রায় ৪০ শতাংশ রান যদি কেউ একাই করেন, তার দিকে তো আর আঙুল তোলা যায় না। ৬৪ রানে আউট হওয়া সাদমান ইসলাম তাই নিরাপদ অবস্থানেই আছেন। তবে ঘাটতির উপলব্ধি তার নিজেরই আছে। এই ওপেনার নিজেই বলছেন, ইনিংসটি আরও বড় করা উচিত ছিল তার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জ্যামাইকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১৬৪ রানের মধ্যে সাদমান একাই করেন ৬৪। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের এতটাই নাজুক অবস্থা যে, সফরে এখনও পর্যন্ত তিন ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটিই। আগের টেস্টে একাদশের বাইরে থাকা সাদমান এবার জায়গা ফিরে পেয়ে ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন শনিবার টেস্টের প্রথম দিনেই। ভেজা মাঠের কারণে সেদিন খেলা হয়নি প্রথম দুই সেশন। শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে দুইবার জীবন পেয়ে শেষ পর্যন্ত পঞ্চাশে পা রেখে অপরাজিত থাকেন এই ওপেনার। দিনশেষে দলের ৬৯ রানের মধ্যে তারই ছিল পঞ্চাশ। দ্বিতীয় দিনেও ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছিলেন তিনি। তবে তার ২০৭ মিনিটের লড়াই শেষ হয়ে যায় শামার জোসেফের বলে। ১৩৭ বলে ৬৪ রান করে বিদায় নেন তিনি। সাদমানের আশা, দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ভালো পারফরম্যান্স মেলে ধরবেন তিনি। ‘প্রথম ম্যাচে আমি একটু অসুস্থ ছিলাম। এ কারণে ম্যাচটি খেলা হয়নি। এই ম্যাচের আগে প্রস্তুতি অনেক ভালো নেওয়ার চেষ্টা করেছি, যাতে দলকে ভালো একটা শুরু এনে দিতে পারি। নিজের সেরাটা দিয়েছি, চেষ্টা করেছি অনেক। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আরও বড় করতে পারিনি (ইনিংস)। বড় করতে পারলে দলের জন্য আরও ভালো হতো।
আশা করব, পরের ইনিংসে ভালো পারফরম্যান্স করব।’ সাদমানের চাওয়া, বল হাতে ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস দ্রুত থামিয়ে পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ গড়বে দল। ‘আগের দিন বৃষ্টি হয়েছিল। এজন্য খেলা শুরু করতে দেরি হয়েছে। পরে যখন টস জিতে আমরা ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলাম, এখানে আমরা জানি যে, নতুন বলে একটু মুভমেন্ট হয়। আমরা মোটামুটি ভালোই সামলাচ্ছিলাম। আউটফিল্ডও অনেক ধীরগতির। আমরা যদি এখন ভালো বোলিং করি, তাহলে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারব এবং দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা যদি একটু রান করি, তাহলে আমাদের কাজে দেবে অনেক।’