আরভি মিন সন্ধানী জাহাজ পরিদর্শনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

| মঙ্গলবার , ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার গতকাল সোমবার পতেঙ্গায় মেরিন ফিশারিজ সার্ভিলেন্স চেকপোস্ট পরিদর্শন শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের নিজস্ব জাহাজ আর ভি মিন সন্ধানী পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে আর ভি মিন সন্ধানী জাহাজ সম্পর্কে লে. ক শরফুদ্দিন, স্কিপার এবং সামুদ্রিক মৎস্য জরীপ ব্যবস্থাপনা ইউনিটের সহকারী পরিচালক আল মামুন বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন। এতে বলা হয় জাহাজটি শ্রিম্প সার্ভে (যার গভীরতা ১০১০০ মিটার), ডেমারসাল সার্ভে (যার গভীরতা ১০২০০ মিটার) ও পেলাজিক সার্ভে (যার গভীরতা ১০২০০ মিটার) নিয়ে কাজ করে থাকে। জাহাজটি ৪৫৭ প্রজাতির মৎস্যসম্পদ চিহ্নিত ও রেকর্ড করেছে। যার মধ্যে ৩৯৮ প্রজাতির মাছ, ২৭ প্রজাতির চিংড়ি, ২০ প্রজাতির কাঁকড়া ও ১২ প্রজাতির মলাস্ক রয়েছে।

এর আগে উপদেষ্টা পতেঙ্গায় মেরিন সার্ভিলেন্স চেকপোস্ট পরিদর্শন এবং বৃক্ষরোপণ করেন। ফিশারিজ মনিটরিং সেন্টার অ্যান্ড জয়েন্ট মনিটরিং সেন্টার ইন সাসটেইনবল মেরিন ফিশারিজ শীর্ষক বিষয়ে উপস্থাপনা করেন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ উপ প্রকল্প ড. মো. শরিফুল আযম। এতে বলা হয় প্রকল্পটি মৎস্য জরিপ এবং মজুদ নিরুপণে কাজ করে যাচ্ছে। নিরীক্ষণ নিয়ন্ত্রণ তথ্য এবং নজরদারি পদ্ধতি আধুনিকায়নের মাধ্যমে মৎস্য নৌযান ও মৎস্যজীবীদের রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্সিং প্রদান করা হচ্ছে।

এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার সাথে ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ, অতিরিক্ত সচিব আমেনা বেগম, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান, সামুদ্রিক মৎস্য জরিপ ব্যবস্থাপনা ইউনিট চট্টগ্রামের পরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিসারিজ প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী, হালদা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, আরভি মিন সন্ধানী হলো বাংলাদেশের একটি গবেষণা জাহাজ। এটি মূলত সামুদ্রিক গবেষণা এবং সমুদ্রসম্পদ অনুসন্ধানের জন্য ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত এবং বঙ্গোপসাগরে বিভিন্ন সামুদ্রিক সম্পদ, বিশেষত মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর অবস্থা মূল্যায়নের জন্য ব্যবহৃত হয়। জাহাজটি সমুদ্রের গভীরতা পরিমাপ, তাপমাত্রা, লবণাক্ততা, পানির গুণমান, এবং জীববৈচিত্র্য সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে। এটি সমুদ্রসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতেল সংকট, নগরের অর্ধেক ওয়ার্ডে টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধ আছে
পরবর্তী নিবন্ধআগামী নির্বাচন অনেক কঠিন হবে : তারেক রহমান