চট্টগ্রামে আইনজীবীদের বিক্ষোভে অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলির (পিপি) পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নেজাম উদ্দীন। আজ সোমবার তার পদত্যাগের দাবিতে আইনজীবীদের বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে তিনি পদত্যাগ করেন।
আইনজীবীদের অভিযোগ, একজন সরকারি কৌঁসুলি হয়ে নেজাম উদ্দীন পুলিশের ওপর হামলা ও আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যার সঙ্গে জড়িত আসামিদের পক্ষে আদালতে ওকালতনামা দিয়েছেন। পরে ওকালতনামাও প্রত্যাহার করেন ওই আইনজীবী।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আইনজীবী হত্যা ও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় চট্টগ্রাম বারের কোনো আইনজীবীকে অংশ না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু এরপরও একজন আইনজীবী দুই আসামির পক্ষে ওকালতনামা দেওয়ায় আইনজীবীরা বিক্ষোভ করেন। পরে ওই আইনজীবী তার ওকালতনামা প্রত্যাহার করে নেন। একই সঙ্গে এপিপির পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
আইনজীবীরা জানান, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যা ও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় ১৭ আসামিকে আজ সকালে কারাগার থেকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে পুলিশের ওপর হামলার মামলায় আট আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
সেখানে দুই আসামি মোহাম্মদ দেলোয়ার ও মোহাম্মদ নুরুর আইনজীবী হিসেবে ওকালতনামা দেন নেজাম উদ্দীন। বিষয়টি জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর সরকারি কৌঁসুলি কার্যালয়ে সামনে বিক্ষোভ করেন।
ওই সময় মহানগর পিপি ও অতিরিক্ত পিপি নেজাম উদ্দীনের পদত্যাগ দাবি করেন। তখন নেজাম উদ্দীন মহানগর পিপির কার্যালয়ে ছিলেন। তাকে সেখানে অবরুদ্ধ করে রাখেন আইনজীবীরা। পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা এসে বিক্ষুব্ধ আইনজীবীদের থামান। শেষে নেজাম উদ্দীন অতিরিক্ত মহানগর সরকারি কৌঁসুলির পদ থেকে লিখিতভাবে পদত্যাগ করেন।