নেপালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

যুব এশিয়া কাপ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোমবার , ২ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ১১:০০ পূর্বাহ্ণ

সহজ জয়ে যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। গতকাল রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব১৯ দল ৫ উইকেটে নেপাল অনূর্ধ্ব১৯ দলকে হারিয়ে দেয়। ১৪২ রানের লক্ষ্য ১২৮ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ দল। প্রথমে ব্যাট করে নেপাল দল ৪৫.৪ ওভার খেলে ১৪১ রানে অল আউট হয়ে যায়। জবাবে বাংলাদেশ ২৮.৪ ওভার খেলে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানে পৌঁছে যায়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর গতকালের এই জয়ে সেরা চারের টিকেট নিশ্চিত করে ফেলল বাংলাদেশের যুবারা। ‘বি’ গ্রুপে সমান দুটি ম্যাচ জিতেছে শ্রীলংকাও। প্রথম দুই ম্যাচেই হেরে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে নেপাল ও আফগানিস্তানের। বাংলাদেশের পেসারদের তোপে বেশি দূর যেতে পারেনি নেপাল। ছোট লক্ষ্যে শুরুতে হোঁচট খেলেও পরে সামলে নেন জাওয়াদ আবরার, আজিজুল হাকিম। দুজনের পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংসে বাংলাদেশ লক্ষ্য পূরণ করে নেয়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে যুব ওয়ানডে অভিষেকে রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরি করা আজিজুল এবার খেলেন ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস। তবে ৫৯ রান করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ওপেনার জাওয়াদ আবরার। এই ম্যাচটির অবশ্য যুব ওয়ানডে স্বীকৃতি নেই। দুবাইয়ে বাংলাদেশকে জয়ের মঞ্চ সাজিয়ে দেন পেসাররা। আল ফাহাদ, ইকবাল হোসেন, সাদ ইসলাম ও রিজান হোসেন মিলে নেন ৭ উইকেট। তাদের ক্ষুরধার বোলিংয়ে নেপালের প্রথম আট ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন শুধু দুজন। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লের মধ্যে দুই উইকেট হারায় নেপাল। একশ রানের আগে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান সাত ব্যাটসম্যান। একপ্রান্ত আগলে রেখে ২৪ ওভার পর্যন্ত খেলেন ওপেনার আকাশ ত্রিপাঠি। তার ব্যাট থেকে আসে ৫ চারে ৭৭ বলে ৪৩ রান। এছাড়া ছয় নম্বরে নেমে কিপারব্যাটার উত্তাম রাঙ্গু থাপা মাগার ৬৯ বলে করেন ২৯ রান। অষ্টম উইকেট জুটিতে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৬ রান যোগ করেন মাগার ও আভিশেক তিওয়ারি। মাগার রান আউট হলে ভাঙে এই জুটি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়া তিওয়ারি ১ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ বলে করেন ২৯ রান। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ফাহাদ, ইকবাল ও রিজান। রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন আগের ম্যাচে ফিফটি করা কালাম সিদ্দিকি এলিন। তবে দলকে চাপে পড়তে দেননি জাওয়াদ ও আজিজুল। দ্বিতীয় উইকেটে ১০৯ বলে ৯০ রান যোগ করেন দুজন। আজিজুল রয়েসয়ে খেললেও নেপালের বোলারদের তুলাধুনা করেন জাওয়াদ। পঞ্চম ওভারে হেমান্ত ধামির বলে ছক্কার পর চার মারেন জাওয়াদ। ধামির পরের ওভারে দুটি চার মারেন তিনি। নবম ওভারে আভিশেক তিওয়ারির বল তিনি ছক্কায় ওড়ান। ৪ চারের সঙ্গে ৩ ছক্কায় ফিফটি করতে জাওয়াদ খেলেন ৫৩ বল। শেষ পর্যন্ত ৬৫ বলের ইনিংসে ৫ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা মারেন জাওয়াদ। তার বিদায়ের পরের বলেই আউট হন শিহাব জেমস। পরে ফরিদ হাসানকে নিয়ে ৫২ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়েন আজিজুল। জয় থেকে ৮ রান দূরে থাকতে ইউভরাজ খাত্রির বলে বোল্ড হন ৩১ বলে ১৩ রান করা ফরিদ। পরের বলে এলবিডব্লিউ রিজান।

তবে নেপালকে নাটকীয় কিছু করতে দেননি আজিজুল। ৭০ বলে ফিফটি ছুঁয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৭১ বলের ইনিংসে ২ চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা মারেন তিনি। একই মাঠে মঙ্গলবার গ্রুপ সেরা হওয়ার অভিযানে শ্রীলংকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিপিএল দিয়ে শুরু তারুণ্যের উৎসব
পরবর্তী নিবন্ধসম্পর্ক ‘জোড়াও লাগতে পারে’!