দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত–পাকিস্তান বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে তুলনামূলক ভালোই রোমাঞ্চ উপহার দিয়ে আসছে। তেমনই এক ম্যাচে গতকাল শনিবার অনূর্ধ্ব–১৯ এশিয়া কাপে ভারতকে ৪৫ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তানি যুবারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮১ রান তোলে। তাদের পক্ষে ১৫৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন ওপেনার শাহজাইব খান। অন্যদিকে, ৪৭.১ ওভারে ২৩৮ রানে অলআউট হয়েছে ভারতীয় যুবারা। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেছেন নিখিল কুমার। তবে আইপিএলে দল পেয়ে ব্যাপক আলোচিত বৈভব সূর্যবংশী মাত্র ১ রান করেছেন। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানকে অসাধারণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার শাহজাইব ও উসমান খান। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন মিলে ৩০ ওভারে ১৬০ রান তোলেন। ৯৪ বলে ৬০ রান করা উসমানের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। সেই জুটিই মূলত পাকিস্তানের বড় পুঁজির ভিত গড়ে দেয়। এর বাইরে তৃতীয় উইকেট জুটিতে শাহজাইব ও মোহাম্মদ রিয়াজুল্লাহ মিলেন স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৭১ রান। প্রথম ইনিংসের একেবারে শেষ বলে আউট হওয়ার আগে শাহজাইব খান ১৫৯ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলেছেন। ১৪৭ বলে তার ব্যাটে এসেছে ৫টি চার ও ১০টি ছক্কার বাউন্ডারি। যা অনূর্ধ্ব–১৯ দলের ওয়ানডে পরিসংখ্যানে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ছক্কা ও ইনিংসের রেকর্ড। এ ছাড়া রিয়াজুল্লাহ’র ২৭ রান ছাড়া বলার মতো রান পাননি আর কেউই। তবুও তারা ২৮১ রানের বড় পুঁজি পেয়ে যায়। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন সমর্থ নাগারাজ, এ ছাড়া আয়ুশ মহাত্রে নেন ২ উইকেট। বড় লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও ২৮ রানের মাথায় ২ উইকেট হারায় ভারতীয় যুবারা। আয়ুশ ২০ রান করলেও, আরেক ওপেনার বৈভব ১ রানে আউট হয়ে যান। এর বাইরে ভারতের বড় জুটি বলতে কেবল ৫৩ রান এসেছে ষষ্ঠ উইকেটে। ৭৭ বলে ৬টি চার ও ৩ ছক্কায় নিখিল কুমার সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেছেন। এ ছাড়া বড় ইনিংস খেলতে পারেননি আর কেউই। আন্দ্রে সিদ্ধার্থ (১৫), মোহামেদ আমান (১৬), কিরণ চোরমালে (২০) ও হারভানশ সিং (২৬) থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়েছেন। শেষদিকে অবশ্য টেল–এন্ডারে পাকিস্তানি বোলারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন মোহামেদ ইনান। শেষ উইকেটে নেমে ২২ বলে ২টি করে চার–ছক্কায় তিনি ৩০ রান করেন। তিনি রান আউট হতেই ২৩৮ রানে থামে ভারতের ইনিংস। হার দিয়ে তাদের যুব এশিয়া কাপ শুরু হলো। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন আলি রাজা। এ ছাড়া আবদুল সোবহান ও ফাহাম–উল–হক ২টি করে উইকেট নেন।