“বাংলার আকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা”! এ কী? নবাব সিরজাউদ্দৌলা নাটকের সেই বিখ্যাত সংলাপকে সত্য পরিণত হতে দেখছি আজ আকাশে, মনে হল এ কথা কুড়ি বছরেরও অধিক সময় পর নিজ বিদ্যায়তন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটু আগে এসে পৌঁছে, মাথার উপরে ঘন কৃষ্ণরূপ ধারণ করা আকাশের দিকে তাকিয়ে। অথচ এসেছিলাম তো হায়! নিজ আকাশে ঘনায়মান আরেক দুর্যোগ কাটাতে!
জানি না এখনো, অত্যাসন্ন সৌদি এসাইনমেন্টে গিয়ে শেষ পর্যন্ত মুখোমুখি হই কোন দুর্যোগের। না হয় পড়ছি কেন বারবার নানান দুর্ভোগে, ঝামেলায়? যদিও নিয়তির চেয়ে কর্মের উপরেই আস্থা আমার বরাবর,তারপরও গোপনে অবচেতনে বসবাস করা নানান সংস্কার কুসংস্কারকে তো উপেক্ষাও করতে পারি না।
আড়াই সপ্তাহ আগে রিয়াদ থেকে ফিরে ঘরে পা রেখেই টের পেয়েছিলাম, ঘরের পশ্চিমাকাশ ফকফকা হলেও, পূর্ব দিগন্তে জমেছে কালো মেঘ। সৌদি থেকে আনা কয়েক জাতের খেজুর, তীন ফল ও জয়তুনের তেল পেয়ে আব্বা আছেন দেখছি মহানন্দে। হঠাৎ করেই মনে হচ্ছে তাঁর অসুস্থতার প্রকোপ বুঝি কমে গেছে। ঐসব বেহেস্তি মেওয়ায় মজে আছেন উনি বেশ! অন্যদিকে সুটকেস, ব্যাগ ভর্তি করে শিশুপুত্রদের জন্য আনা গুঁড়া দুধ, পনির, মাখন, মেয়নেজ ইত্যাকার দ্রব্যাদিতে মোটেও গলেনি মন লাজুর! এনেছি যদিও সবই তারই চাহিদা মোতাবেক, লিস্টি ধরে ধরে, চাহিদার চেয়েও বেশী পরিমাণেই। উল্টো দেখছি আবহাওয়া এদিকটায় গুমোট। গুমোট সেই আবহাওয়ায় থেকে থেকে বয়ে যাওয়া পাগলা হাওয়ার তোড়ের মধ্যে তুমুল ধৈর্যে আমাদের নৌকার হাল সামলানোর সাথে, সঠিক দিকে পাল টানিয়ে রাখতে গিয়ে হচ্ছিলাম গলদঘর্ম, এ ক’দিন। ঠিক করলাম তাই, নাহ আর ঢাক ঢাক গুড় গুড় নয়, কথা বলতে হবে খোলাখুলি এবার।
কথা হচ্ছে প্রোষিতভর্তৃকা হওয়া যেমন লাজুর পছন্দ নয়, তেমনি বছরের পর বছর পরিবার পরিজন ছেড়ে দেশের বাইরে থাকায় আমারও তো আছে আপত্তি। উপরন্তু আর যে দেশই হোক, এই সৌদি আরবে লম্বা সময়ের জন্য থাকতে যাবো? এমত ভাবনা তো ছিল না, ঘোরতর দুঃস্বপ্নেও! তারপরও কেন যে হেডকোয়ার্টারের ফাংশানাল বস এরিককে মানা করতে পারিনি এযাত্রা, সে কথায় যাচ্ছি না এখন। আপাতত, স্ত্রীর সাথে এ ব্যাপারে খোলাখুলি কথা হওয়াটাই জরুরী, এ চিন্তা করে রিয়াদ থেকে ফেরার দিন তিনেক পরে এক সন্ধ্যায় ওর মুখোমুখি হতেই খোলাসা হলো–এক সপ্তাহের জন্য গিয়ে তিন সপ্তাহ কাটিয়ে আসায় তুমুল বিরক্ত সে! স্থির বিশ্বাস জন্মেছে ওর এতে যে, এক বছরের কথা বলে শেষ পর্যন্ত কাটিয়ে আসবো আমি ঐখানে তিন কী চার বছর!
হ্যাঁ হাল বিগত সফরটি আমার দীর্ঘায়িত হওয়ায় নিজেও, কিঞ্চিৎ বিরক্ত ও হতাশ। কারণ প্রথমত এর ফলে এ সপ্তাহে বার্সেলনার যে মিটিঙয়ে যাওয়ার কথা ছিল আমার, তা আর হচ্ছে না। এখন ভিসা নিতে নিতেই তো শেষ হয়ে যাবে মিটিং, বিরক্তির কারণ এটা। আর হতাশ হয়েছি এ জন্য যে, ভেবেছিলাম প্রিএসাইনমেন্ট ট্রিপের জন্য আমার ভিসা বের করতে যে ঝামেলা পোহাতে হয়েছিল সৌদির এইচ আর হেডের, তাতে আমার জন্য সৌদি ওয়ার্ক পারমিট বের করার সম্ভাব্য ভয়াবহ ঝামেলা এড়ানোর জন্য হয়তো সে, শেষ পর্যন্ত হাল ছেড়ে দেবে।
মনে মনে ইয়া নফসি পড়তে থাকলেও সে সন্ধ্যায় মেকি পৌরুষের মোড়কে বেশ সিরিয়াস ভঙ্গিতে বলেছিলাম, আসলেই যেতে হবে এবার তিন বছরের জন্য–তাতে ব্জ্রাহত, লাজু কিছুক্ষণ বাক্রুদ্ধ থেকে হাহাকার করে উঠেছিল
“তাহলে ছোট দুটো বাচ্চা আর অসুস্থ বাবার দায়িত্ব একা আমি সামলাবো কী করে তিন বছর?” ভেবেছিলাম বলি যে, কেনো সিঙ্গাপুরে ছিলাম যখন, তখন যেমন বস মনসুর ভাই, সহকর্মী রিয়াদসহ কোম্পানির নানানজন যেরকম সহযোগিতা করেছেন তোমাকে নানান সময়ে এবং আব্বার জন্য যেমন সর্বক্ষণ ছিলেন আমাদের পরিবারের পরম সুহৃদ ডাঃ মোসলেহউদ্দিন ভাই ও ডাঃ হাসনাত ভাই; তারা তো আছেনই! কিন্তু তা না বলে, আগপাছ কোন কিছু চিন্তা না করে আপাত বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্যে বলেছিলাম, এবারতো যাবো সবাইকে নিয়েই!
“তাই নাকি? অফিস এটা এলাউ করবে কি?”
না করার কী আছে? নিজ খরচে নিয়ে যাবো আব্বা আর হেলেনকে। অফিসকে বলবো শুধু ভিসা করে দিতে। এ উত্তরে, সে সন্ধ্যায় ঘরের পূর্বাকাশের গুমোটাবস্থা কেটে যাওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেও, পরদিন সকালে নাস্তার টেবিলে, লাজু জানিয়েছিল সটান, নাহ সে সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে অতোদিনের জন্য মরুতে যেতে রাজী নয়। তারপর অধমের দিকে ছুঁড়ে দিয়েছিল সেই কথাটি ঘুরিয়ে, যেটি বছর দেড়েক আগে সিঙ্গাপুর যাওয়ার প্রাক্কালে একটি মোক্ষম প্রশ্ন হিসেবে জিজ্ঞেস করেছিলাম তাকে, যা ছিল–আমার ক্যারিয়ারের উন্নতি চায় কী না সে আসলেই? হায়! তখনতো বুঝতে পারিনি বেকুবের মতো স্ত্রী হস্তে তুলিয়া দিলাম আজীবনের জন্য কোন নির্ভুল ব্রক্ষাস্ত্র! বলল সে– “তোমার কাছে তো ক্যারিয়ারই সব! নাহ, আমি তাতে বাঁধা হবো না। যাও তুমি, একাই সামলাবো আমি !“
এ কথার পর অধমের মুখে আর কোন কথা যোগায়নি। কর্ণকুহরে যা পশেছিল না পারছিলাম তা গিলতে, না পারছিলাম উগলাতে এরকম চরম অস্বস্তি নিয়ে তারপর মনোযোগ দিয়েছিলাম বাইরের ঝামেলার দিকে। যদিও দেশে ফেরার পর থেকেই সেটি নিয়েও কাজ করছিলাম, তবে তাতে তো অখণ্ড মনোযোগ দিতে পারছিলাম না।
আসলে সে কাজটি শুরু করেছিলাম রিয়াদে যাওয়ার আগেই। সৌদি অফিস সেসময় জানিয়েছিল আগাম প্রস্তুতি হিসেবে আমি যেন আমার সব শিক্ষাসনদের আরবি অনুবাদ নোটারাইজ করে, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এখানকার সৌদি এম্বেসি থেকে সেসব সত্যায়িত করিয়ে রাখি। সৌদি ইকামা মানে ওয়ার্ক পারমিট পেতে ওসব অত্যাবশ্যকীয়।
ঘটনা হচ্ছে এর আগে যে একবছর সিঙ্গাপুরে কাজ করে আসলাম, তখন কিন্তু সিঙ্গাপুর সরকার আমার ওয়ার্ক পারমিট দিতে গিয়ে এসবের কিছুই চায়নি।দিয়ে দিয়েছিল তারা তা আমার কোম্পানির সিঙ্গাপুর অপারেশনের আবেদনের ভিত্তিতেই। সম্ভবত তারা মনে করেছিল যে নিয়ত পরিবর্তনশীল এই বৈশ্বিক গ্রহের তুমুল প্রতিযোগিতামূলক একটা গ্লোবাল কোম্পানিতে ১৮/১৯ বছর টিকে থেকে যে মার্কেটিং হেড হয়েছে , তার শিক্ষাগত সনদ দেখে সময় নষ্ট করার কী মানে আছে? কিন্তু সৌদিরা অতো কাঁচা কাজ করতে রাজী নয়, ফলে পড়লাম দ্বিবিধ ঝামেলায় প্রথমত, এস এস সি আর এইচ এস সির সার্টিফিকেট আছে বাংলায়। দ্বিতীয়ত অনার্সের মূল সনদ থাকলেও, মাস্টাসের্র সনদ তুলিইনি আমি । দেশেতো কাজ চলে গেছে এতোদিন মার্কশিটেই। এখনতো দেখছি শেষ রক্ষা হচ্ছে না। তাই রিয়াদ যাওয়ার আগেই, শৈশবের শহর কুমিল্লার পাড়াতো ছোটভাই বাদলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম ঐ সনদদ্বয়ের ইংরেজি ভার্সন তোলার, যা করে ফেলেছিল সে ঈর্ষণীয় দ্রুততায়। কিন্তু একই সময় স্নাতকোত্তর সনদ তোলার দায়িত্ব আমাদের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ম্যানেজার শোভন সদয় বড়ুয়াকে যে দিয়েছিলাম তার মামার উপর ভরসা করে, কাজ করেন যিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট অফিসে, হয়নি তা এখনো!
উপরন্তু দেশে ফেরার পরপরই ফোনে দুঃসংবাদই পেয়েছিলাম মামাবাবুর কাছ থেকে। জানিয়েছিলেন তিনি, বছর কয়েক আগে হাইকোর্টের জনৈক মহামান্য বিচারক যিনি নাকি আবার আমার বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র ছিলেন, তার সার্টিফিকেট জালিয়তির ঘটনা চাউর হয়ে যাওয়ায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপাতত কারোই সনদ ইস্যু করছে না। শুনে মাথায় বাজ পড়ার সাথে মনে পড়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বিখ্যাত সেই গানটির প্যারোডি– হায়, বিচারপতি তোমার বিচার আজ করবে কারা? কথায় আছে মানির মান আল্লায় রাখে, সম্ভবত এই কথার প্রমাণ হাতে হাতে দেবার জন্যই কপাল ভাল যে মামা সাথে সাথে এও জানিয়েছিলেন, যদি আমার প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কোন শিক্ষক এ ব্যাপারে বিশেষ সুপারিশ করেন তবে তা পাওয়ার একটা পথ হলেও হতে পারে!
তাতে মনে পড়েছিল সাথে সাথেই, দেশের অন্যতম খ্যাতনামা মাৎস্যবিজ্ঞানী, হালদা নদী বিশেষজ্ঞ আমার শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আজাদি স্যারের কথা। আমার ছাত্রজীবন থেকেই রাজনৈতিক ও বিশ্বদর্শনে আমরা দু’জনে একদম দুই বিপরীত মেরুর হওয়ার পরও, স্যারের সাথে গত বিশ বছর ধরেই অনিয়মিত হলেও, ছিল যোগাযোগ। সে ভরসায় ফোনে স্যারকে আমার সার্টিফিকেট বিষয়ক ঘনায়মান দুর্যোগের কথা জানাতেই, তুমুল বিস্ময়াভূত ক্ষোভে বলেছিলেন তিনি
“কী বলছ? এটা একটা কথা হল নাকি? তোমার সার্টিফিকেট দেবে না মানে? দাঁড়াও দেখছি আমি”। তারপর স্যারের কথামতো গত দু’সপ্তাহে নানান চিঠিপত্র, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠিয়ে, এসেছি এতোকাল পর আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। কপাল আমার আরো ভাল যে, আজকের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আঁচ করতে পেরে চট্টগ্রামের এডিসি (রেভিনিউ) বাহাদুর জাফর আলম সাহেব নিয়ে এসেছিলেন অধমকে তাঁর গাড়িতে করে শহর থেকে ক্যাম্পাসে! গাড়ি থেকে নেমে জাফর আলম সাহেব মানে বন্ধু শাকিল সাইন্স ফ্যাকাল্টির নিচতলায় তার বিভাগ রসায়নে থেকে গেলে, ঊর্ধ্বগমন শুরু করি আমি চার তলাস্থিত নিজ বিভাগ প্রাণিবিদ্যার উদ্দেশ্য। অতঃপর প্রাণিবিদ্যার অতি চেনা বারান্দায় পা রাখতেই বিভাগের বর্তমান সভাপতি ও দেশের খ্যাতনামা বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ফরিদ আহসান স্যারের সাথে মুখোমুখি হয়ে তাঁকে সালাম দিতেই ক্ষণকাল থমকে থেকে উনি হৈচৈ করে উঠছিলেন-“আরে, সেলিম নাকি? আজাদী স্যারতো তোমার অপেক্ষা করছিলেন। দেখা হয়েছে কী? চিন্তা করো না, সার্টিফিকেট পেয়ে যাবে। শোন, যাওয়ার আগে আমার অফিসে চা খেয়ে যেও, এখন দেখো আজাদি স্যার কি বলেন।”
তাতে দ্রুত আজাদী স্যারের অফিসে গিয়ে সালাম দিতেই উনি বললেন– “আরে সেলিম, বলো না ভিসি স্যার নাকি শহরে গেছেন এই ঝড় মাথায় নিয়ে। উনি না আসলে তো হবে না। চিন্তা নাই, আমি ওনাকে ফোন করছি,যাতে উনি ক্যাম্পাসে আসেন বিকেল হলেও। তুমি যাও তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলার অফিসে। যেসব কাগজপত্র আনতে বলেছিলাম সেগুলো জমা দাও ওখানে।” স্যারের উপদেশ মতো কন্ট্রোলার অফিসের সেকশন অফিসারের কাছে সাথে করে নিয়ে আসা দলিদস্তাবেজ জমা দিতেই, উনি অপেক্ষা করতে বলে ওসব বগলদাবা করে কন্ট্রোলার মহোদয়ের কক্ষে ঢুকেই দ্রুত বেরিয়ে এসে বললেন– “যান যান এক্ষুণি যান। কন্ট্রোলার স্যার, আপনাকে ডেকেছেন?” জবাবে, উনি কেন ডাকছেন? ব্যাপার কী? এসব প্রশ্ন মুখ থেকে বেরুবার জন্য আঁকুপাঁকু করলেও সেগুলোকে গিলে ফেলে, দরজায় টোকা দিয়ে, ঠেলে ভেতরের দিকে সালাম ছুঁড়ে দিতেই, ভেতর থেকে ভেসে এলো আন্তরিক কণ্ঠ– “ওয়ালাইকুম। আসেন আসেন। আমার আসলে আপনার চেহারা দেখার খুব ইচ্ছা হয়েছেতো, তাই ডেকেছি। আচ্ছা বলেনতো সেই বিশ বছর আগে এখান থেকে পাশ করে চলে যাওয়া ছাত্র আপনি! কথা হচ্ছে আপনি এমন কী করেছেন যে, আজাদী স্যার গত দুই সপ্তাহ যাবৎ অফিসে, মসজিদে, হাটে, মাঠে যখন যেখানেই দেখেছেন একটাই প্রশ্ন করেছেন আমাকে”। “সেলিমের সার্টিফিকেটের কি করলেন?” তাঁর কথা শুনে পরে গেলাম ফাঁপরে! আসলে জানিই না তো আমি কী এমন সুকৃতি আছে এ অধমের? শুধু একটা কথা বলতে পারি, যতই ছিলাম না কেন আমরা বিপরীত মেরুর চিন্তায়, চেতনায় ভাবনায়, তারপরও তাঁকে কখনো সামান্যতম অসম্মান করেছি ভুলেও এটা মনে পড়ছে না। কারণ শিখিনি তো তা, পরিবার থেকে। মনে মনে এসব ভাবতে ভাবতে হাসিমুখে বললাম– সেটা অবশ্যই আজাদী স্যারের মহত্বজনিত পক্ষপাতিত্ব। তবে সেই পক্ষপাতিত্বের কারণ উনিই ভাল জানেন। অবশ্যই আমি জানি না তা!
লেখক : প্রাবন্ধিক, ভ্রমণ সাহিত্যিক।