ঠিক চ্যাম্পিয়নদের মতোই খেললো বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের আসরে আরব আমিরাতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব–১৯ এশিয়া কাপ শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশের যুবারা। এবার সেখান থেকেই যেন শুরু করলো তারা। ২০২৪ সালের আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪৫ রানের দাপুটে জয়ে শুভসূচনা করলো আজিজুল হাকিম তামিমের দল। গতকাল শুক্রবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২২৮ রান করে বাংলাদেশ। এরপর আফগানিস্তানকে ১৮৩ রানে অলআউট করে দেয় আল ফাহাদ ও ইকবাল হোসেন ইমনরা। ব্যাটিংয়ে আজিজুল হাকিম তামিম আর বল হাতে আফগানিস্তানের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন আল ফাহাদ ও ইকবাল হোসেন ইমনরা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ–আফগানিস্তান ম্যাচ দিয়েই যুব এশিয়া কাপের উদ্বোধন হয়েছে। আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম ও কালাম সিদ্দিকি মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ১৪২ রানের জুটি গড়েন। আর তাতেই ২২৮ রানের লড়াকু পুঁজি পায় যুব টাইগাররা। সেই রান তাড়ায় শুরু থেকেই তটস্থ ছিলেন আফগান ব্যাটাররা। এর মূল কারিগর আল ফাহাদ ও ইকবাল হোসেন ইমন ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। লক্ষ্য তাড়ায় আফগানদের ইনিংস শুরু হয় ধীরগতিতে। ৮ ওভারে কোনো উইকেট না হারালেও স্কোরবোর্ডে ওঠে মাত্র ২০ রান। এর পরের ওভারে মারুফ মৃধার বলে উজাইরুল্লাহ নিয়াজাই ক্যাচ দিলে ২১ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৫ রান যোগ করেন আফগান অধিনায়ক মাহবুব খান ও ফয়সাল খান আহমদজাই। ১৬ রান করে রাফিউজ্জামান রাফির বলে বোল্ড হয়ে মাহবুব। তৃতীয় উইকেটে ৪০ রান করেন ফয়সালুনাসের খান জুটি। ব্যক্তিগত ফিফটি পূর্ণ করে ফয়সাল (৫৮) বিদায় নিলেই আফগানরা বিপদে পড়ে যায়। এরপর বলার মতো রান পেয়েছেন কেবল বরকত ইব্রাহিমজাই (৩৪)। এ ছাড়া বরকত ১৯ এবং নাজিফউল্লাহ আমিরির ১৭ রান ছাড়া স্কোরবোর্ডে জয়ের মতো রান যোগ করতে পারেননি কেউই। ৪৭.৫ ওভারে ১৮৩ রানে থামে আফগানদের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন আল ফাহাদ ও ইকবাল হোসেন ইমন। মারুফ ২টি ও রাফি একটি উইকেট নেন।
ম্যাচের শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এমন বাজে শুরুর পর আজিজুল হাকিম তামিম ও কালাম সিদ্দিকি মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ১৪২ রানের জুটি গড়েন। ফিফটি করে কালাম বিদায় নিলেও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছেন তামিম।
অধিনায়কের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ৯ উইকেটে ২২৮ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়ে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৩ রান করেছেন তামিম। ১১০ বলে কালাম করেন ৬৬ রান। তামিমের বিদায়ের পর যুব টাইগারদের আর কেউই সুবিধা করতে পারেননি। ফলে ফিনিশিংটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। আফগানিস্তানের হয়ে ২টি করে উইকেট পেয়েছেন আব্দুল আজিজ, খাতির স্টানিকজাই ও নূরিস্তানি ওমরজাই।