সাধারণত এম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস কিংবা অন্যান্য জরুরি পরিষেবার কাজে নিয়োজিত যানবাহনগুলো ইমারজেন্সি সাইরেন বাজিয়ে থাকেন। কিন্তু বর্তমান চিত্র একটু ব্যতিক্রম। এম্বুলেন্সে রোগী না থাকলেও কিংবা জরুরি কোনো তাড়া না থাকার পরেও রাস্তায় সবার আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় মত্ত হয়ে অযথাই ইমারজেন্সি হুইসেল বাজিয়ে থাকেন চালকেরা। রোগী না থাকলেও সাধারণ যাত্রী পরিবহনকালীন সময়ে উচ্চ শব্দে এসব সাইরেন বাজিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় এম্বুলেন্স। এসব দৃশ্য যখন সাধারণ মানুষের চোখে একের পর এক ধরা পড়ছে, ঠিক তখন বিশ্বাস নষ্ট হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভিআইপি গাড়ি, সচিব বা সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি ফ্যামিলির সদস্যদের বহনের সময় বা ব্যক্তিগতকাজে ব্যবহারের সময়ও ভিআইপি হর্ন বাজিয়ে থাকেন। এতে সাইড দেয়া তো দূরে থাক, উল্টো মানুষ বিরক্তবোধ করেন।
যত্রতত্র ইমার্জেন্সি হুইসেল বাজানো ঠেকাতে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া উচিত। পাশাপাশি নৈতিক দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে আমাদেরও এসব কাজ থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। ভিআইপি কিংবা পেশার পরিচয় নয়; বরং বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমাদের গর্ববোধ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
আবু মো. ফজলে রোহান