সিআরবিতে টেন্ডার নিয়ে উত্তেজনা

একাধিক গ্রুপের ঠিকাদাররা মুখোমুখি, সংঘাত এড়াতে পুলিশ-র‌্যাব মোতায়েন

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৯ নভেম্বর, ২০২৪ at ৮:২৭ পূর্বাহ্ণ

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর সিআরবিতে তিস্তা ও কালনী ট্রেনের অন বোর্ড সার্ভিসের টেন্ডারবাজি নিয়ে গতকাল ঠিকাদারদের কয়েকটি গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থানে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। টেন্ডার জমার শেষ দিন এবং ওপেনিংয়ের দিনে সিআরবিতে দলবল নিয়ে হাজির হয় একাধিক গ্রুপ। এসময় এক ঠিকাদারকে অপর গ্রুপের লোকজন তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঠিকাদারদের মধ্যে উত্তেজনার খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ এবং র‌্যাব মোতায়েন করে কর্তৃপক্ষ। গতকাল সকাল থেকে সিআরবিতে এই দুটি ট্রেনের অন বোর্ড সার্ভিসকে ঘিরে কয়েকটি গ্রুপের প্রায় এক থেকে দেড় শতাধিক বহিরাগত যুবক জড়ো হয়ে উত্তেজনা ছড়ায়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সিসিএম দপ্তরের এক কর্মকর্তা আজাদীকে জানান, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ কর্মশিয়াল ম্যানেজারের দপ্তরে গতকাল তিস্তা ও কালনী এঙপ্রেস ট্রেনের অন বোর্ড সার্ভিসের টেন্ডার ড্রপিং এবং ওপেনিংয়ের দিন ছিল। টেন্ডার ওপেনিংয়ের পর দেখা যায় বাপ্পি এনকে ট্রেডিং তিস্তা ট্রেনের অন বোর্ড সার্ভিসের ট্রেন্ডারে লোয়েস্ট হয়। অপর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পাইওনিয়ার কালনী এঙপ্রেসে অন বোর্ড সার্ভিসের ট্রেন্ডারে লোয়েস্ট হয়। এই নিয়ে ঠিকাদারদের কয়েকটি গ্রুপ তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করে।

এর আগে সকালে দলবল নিয়ে সিআরবিতে হাজির হয় একাধিক গ্রুপ। চলে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা এবং একে অপরের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ। এ সময় একজনকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ ওঠে। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্তৃপক্ষ পুলিশ মোতায়েন করে কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর রেলওয়ের সিআরবি এবং পাহাড়তলীতে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নতুন করে একাধিক গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে। এরপর থেকে দিনদিন রেলের টেন্ডারবাজি নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। তারা বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে রেলের কর্মকর্তাদের হুমকিধমকি দিচ্ছেন। তাদের কথার বাইরে গিয়ে ট্রেন্ডার না দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে রেখেছেন। এরমধ্যে কয়েকজন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিতও করেছেন। পাহাড়তলী এবং সিআরবির দুই কর্মকর্তা বিষয়টি স্বীকার করলেও নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান। রেলের অনেক পুরনো ঠিকাদার ৫ আগস্টের পর থেকে পাহাড়তলী এবং সিআরবিতে যেতেও পারছেন না। তাদেরকে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে বেশ কয়েকজন ঠিকাদার আজাদীকে জানিয়েছেন। পাহাড়তলী প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের দপ্তর এবং সিআরবিতে জিএম, প্রধান প্রকৌশলীসহ অন্যান্য দপ্তরের প্রধানদের দপ্তর তিনটি গ্রুপ জিম্মি করে রেখেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবায়েজিদ থেকে অপহৃত ব্যবসায়ী রাউজানে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬
পরবর্তী নিবন্ধচিন্ময়সহ ইসকনের ১৭ সদস্যের ব্যাংক হিসাব জব্দ