বাঁশখালী প্রধান সড়কে লবণবাহী ট্রাক চলাচলে ঘটে চলছে দুর্ঘটনা

মোহাম্মদ এরশাদ, বাঁশখালী | বৃহস্পতিবার , ২৮ নভেম্বর, ২০২৪ at ৮:৪৩ অপরাহ্ণ

খোলা ট্রাকে করে লবণ পরিবহনের কারণে গলে পড়া (নিঃসৃত) পানিতে মারাত্মক পিচ্ছিল হয়ে উঠেছে ব্যস্ততম চট্টগ্রাম-আনোয়ারা বাঁশখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক।

কোন ধরনের সুরক্ষা ছাড়াই উপকূলীয় এলাকা থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাকে করে এসব লবণ পরিবহনে সড়ক পিচ্ছিল হওয়ায় দুর্ঘটনা বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে দুর্ঘটনা যেন লেগেই আছে। এতে অন্তত ৪ জনের প্রাণহানি ছাড়াও আহত হয়েছেন অনেকে। বাঁশখালী পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সাম্প্রতিক সময়ের দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৭০ শতাংশ ঘটেছে লবণ পানিতে সড়ক পিচ্ছিল হওয়ার কারণে। এই তথ্য জানিয়ে স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা বলেন, রাতে ও দিনে দেখলেই স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, পরিবহনের সময় ট্রাক থেকে গলে পড়া লবণ পানিতে মারাত্মক পিচ্ছিল হয়ে উঠেছে বিটুমিনের মহাসড়কটি।

এতে একটু করে ব্রেক কষলেই মহাসড়ক থেকে ছিটকে পড়ছে যানবাহন। সর্বশেষ আজ বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া পাঁচটায় উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের ভাষানিয়ার দোকান এলাকায় ১০ মিনিট ব্যবধানে লবণ পানির কারণেই পাঁচটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে।

এতে সাত জন গুরুতর আহত হয়, আহতদের মধ্যে জামাল উদ্দীন নামের এক সাংবাদিক গুরুতর হয়। পরে স্থানীয়রা থাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, খোলা ট্রাকে করে পরিবহনের সময় লবণ পানি নিঃসৃত হয়ে সরাসরি সড়কে পড়ায় বিটুমিনের কার্পেটিংয়ের প্রলেপও উঠে যাচ্ছে।

বিটুমিনাসের নিচের স্তর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সড়কের আয়ুষ্কাল কমে যাচ্ছে। এ নিয়ে সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনকে পত্র দেওয়া হলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকর্মী কমিশনার ভূমি জসিম উদ্দিন বলেন, লবণচাষি সংশ্লিষ্টদের নিয়ে অচিরেই সভা করা হবে। যাতে ত্রিপল ছাড়া কোনো অবস্থাতেই লবণ পরিবহন করতে না পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোনো উগ্রবাদী সন্ত্রাসীর জায়গা এই বাংলার মাটিতে হবে না- সমন্বয়ক রাফি
পরবর্তী নিবন্ধসিএমপি কোতোয়ালী থানার নতুন ওসি আব্দুল করিম