ইসকন সমর্থকদের হাতে শহীদ অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের মাগফেরাত কামনায় অনুষ্ঠিত দোয়া ও প্রতিবাদ সমাবেশ খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেছেন, এই বাংলার মাটিতে কোনো উগ্রবাদী সন্ত্রাসীর জায়গা হবে না। যারা উগ্রবাদী সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করতে চায় তাদের এক চুল পরিমাণ ছাড় দেয়া হবে না।
আমরা গতকালও বলেছি আবারো বলছি সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদী কর্মকান্ড পরিচালনার দায়ে ওই ইসকনকে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমাদের ম্যাসেজ পরিষ্কার, আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার চত্বরে এ দোয়া ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তিনি আরো বলেন, চারিদিক থেকে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। দেশে শান্তিপূর্ণ ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কাজ থেকে সতর্ক থাকতে হবে। উগ্রবাদী সংগঠন “ইসকন” বাংলাদেশের নতুন স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারছে না। কারণ তারা হলো ভারতের দালাল, আর স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর। তারা এ দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। তিনি সবাইকে ঐক্যবন্ধ থাকার আহবান জানান।
এতে শিক্ষার্থী আমান উল্লার সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সামিন, ইরফান, আহসান উল্লাহ প্রমুখ। সব শেষে শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ।
কোরআন তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের শুরুতে পৌরসভার ডাকবাংলো চত্তর থেকে একটি মিছিল শুরু হয়ে হাটহাজারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
একইদিন সকালের দিকে হাটহাজারী সরকারী কলেজ প্রাঙ্গনে সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে চট্টগ্রামে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সমর্থকদের দ্বারা আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা ও মসজিদে হামলা, ভাংচুরের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে।
সমাবেশে তারা অবিলম্বে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যাকারী ও মসজিদে হামলা, ভাংচুরে জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ সময় কলেজের শিক্ষার্থীরা ইসকন বিরুধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।