রাঙ্গুনিয়ায় চাঁদের গাড়িতে করে চোরাই গরু নিয়ে পাচারকালে তিন চোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোররাতে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ঘাটচেক রাস্তারমাথা এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মোহাম্মদপুর এলাকার বদিউল আলমের ছেলে আবদুল খালেক (২৮), একই এলাকার আবদুস সালামের ছেলে রমজান আলী (২৬) এবং আহম্মদ নবীর ছেলে আবদুল কাদের (২১)।
তারা তিনজনই ইসলামপুরের রশিদ আহমদের মালিকানাধীন একটি খামার থেকে গরু দুটি চুরি করে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলো বলে জানা যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম জানান, পৌরসভার ঘাটচেক রাস্তারমাথা এলাকায় পুলিশের নিয়মিত তল্লাশিকালে চাঁদের গাড়িভর্তি দুটি গরুসহ তিন ব্যাক্তিকে ধরে থানায় নিয়ে আসা হয়।
প্রথমদিকে গরু দুটি তাদের নিজেদের বলে দাবি করে এবং গ্রেফতার আবদুল খালেকের মা কাঞ্চনা বেগম এসে এসব তাদের ঘরের গরু বলে জানায়। এদিকে থানায় গরু আটকের খবর শুনে ইসলামপুর থেকে রশিদ আহমদ এসে শনাক্ত করেন গরু দুটি তার খামার থেকে চুরি হয়েছে।
এ সময় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান কাঞ্চনা বেগম। পরে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা মামলা দিলে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
রশিদ আহমদ জানান, গরুগুলোর প্রকৃত মালিক লালানগরের প্রবাসী মো. নাছের উদ্দিনের। গত ৪-৫ বছর যাবত এগুলো বর্গা নিয়ে তার খামারে লালন-পালন করে আসছিলেন।
গতরাতে তিনি খামারে না থাকার সুযোগে এই চুরির ঘটনা ঘটায় অভিযুক্তরা। এই ব্যাপারে থানায় নাছের উদ্দিন বাদী হয়ে কাঞ্চনা বেগমসহ চারজনকে বিবাদী করে মামলা দিয়েছেন বলে জানায়।
ইসলামপুরের স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক আবদুল জব্বার জানান, ইসলামপুর সাহেবনগর স্টিল ব্রীজ এলাকায় সম্প্রতি ৭০-৮০ হাজার টাকা দামের একটি গরু বেঁধে ভাত খেতে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে দেখেন গরুটি চুরি হয়ে গেছে, পরে অনেক খুজেও আর পাননি।
শুধু তার গরুই নয়, ইদানিং পুরো রাঙ্গুনিয়াজুড়ে গরু চুরির ঘটনা বেড়েছে। এসবের সাথে একটি বড় চক্র জড়িত। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে মূল হোতা বের হয়ে আসবে। অন্যথায় জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে ফের তারা অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে যাবে বলে আশংকা করেন কৃষক জব্বার।