ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশপাশি শিক্ষার্থীরা যোগ দিলেও এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদেরও যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে সরকার। গতকাল রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এখন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আমরা ছাত্রদের কাজে লাগাচ্ছি। ট্রাফিক ব্যবস্থা আরও উন্নত করার জন্য আমাদের যারা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ, সেনাসদস্য, বিমানবাহিনী সদস্য, বিজিবি বা আনসার সদস্য রয়েছেন, যাদের ট্রাফিকে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে, তাদের নিয়ে একটি কমিউনিটি পুলিশ তৈরি করা হবে। এদের সংখ্যা পাঁচশর মত হতে পারে বলে জানান তিনি। খবর বিডিনিউজের।
কী পরিস্থিতিতে বাহিনীর তাদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আনা হচ্ছে, এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, আপনারাই তো বলেন শহরের রাস্তা ২৫ শতাংশ থাকার কথা, আছে সাড়ে ৭ শতাংশ। তার ওপর গাড়ি বেড়েই চলেছে। এভাবে তো গাড়ি–ঘোড়া চলতেই পারছে না। ব্যাটারির রিকশা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি উচ্চ আদালতে গড়িয়েছে। উচ্চ আদালত থেকে যে নির্দেশনা আসবে, সরকার সেটাই বাস্তবায়ন করবে। ভুয়া মামলা ঠেকাতে সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভুয়া ও মিথ্যা মামলা হচ্ছে, এটা আমি অস্বীকার করব না। ভুয়া ও মিথ্যা মামলা যেন না হয়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছি। এই ধরনের মামলা যারা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা বড় ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। যাদের আসামি করা হচ্ছে, তারা যেন কোনো অবস্থাতেই হ্যারাজ না হয়, সে বিষয়ে আমরা একটা কমিটি করে দিচ্ছি। ওই কমিটির বিষয়ে আমরা একটা প্রপোজল দিছি। জেলায় জেলায় ডিসি–এসপি থাকবে, একটা লিগ্যাল এইড কমিটি থাকবে, তারা নিশ্চিত করবে যে কেউ যেন হ্যারাজ না হয়।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, কেউ কিছু করতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মোটেও কোনো উদ্বেগ নেই। মোটামুটি একটা সন্তোষজনক অবস্থায় চলে এসেছে।