যৌতুক নয় মেয়েকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে শেখান

আসিফ আল মাহমুদ | সোমবার , ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ at ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

দেশে বাল্যবিবাহ আটকাতে মেয়ের বহুমুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই সাধারণ মানুষের মাঝে বাল্যবিবাহের নেতিবাচক দিক সম্পর্কে খানিকটা ধারণা তৈরি হয়েছে বটে। তবুও উল্লেখযোগ্য হারে কমছে না বাল্যবিবাহের সংখ্যা! গ্রামাঞ্চলে আজও এতোই রাখঢাক করে বাল্যবিয়ে দেয়া হয় যে কখনো আশেপাশের প্রতিবেশীরাও ওয়াকিবহাল থাকে না। আর ওই ছোট্ট কন্যাশিশুটি জানেই না বিয়ে কী জিনিস! অভাবগ্রস্ত পরিবারের মেয়েশিশুকে প্রভাবশালী কোনো বয়োবৃদ্ধের কাছে বিয়ে দেওয়ার নজির বহুল। এখনো গণ্ডগ্রামে বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে কঠোর গোপনীয়তা মানা হয়। এমনকি এইসব বিয়েতে সহায়তাকারী হিসেবে থাকেন স্থানীয় সমাজপতিরা! কখনো বিষয়টি জানাজানি বা রটে গেলে, সমাজের সচেতন ব্যক্তি কিংবা প্রশাসনের মুখে পড়ে বাল্যবিবাহের কারণ হিসেবে ‘ইভটিজিং’কে অজুহাত দেখানো হয়! অজপাড়াগাঁয়ে এই যুগেও মিথ্যা জন্মসনদ দেখিয়ে মেয়ের বয়স প্রমাণের নজির রয়েছে! বিয়েটা না হলে সমাজে মুখ দেখানো যাবে না, এই দোহাইও দিতে দেখা যায় কাউকে! ভাবখানা যেন, কন্যা সন্তানের বিয়ে পরিবারের কাছে এক পাহাড়সম বোঝা! বেশির ভাগ মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ বাল্যবিবাহ! দুমুঠো অন্ন গিলছে বলে বিয়ের পিঁড়িতে ঠেলে দিয়ে অপরিণত মেয়েকে অভিলাষের বলি বানাবেন না। বিয়ের জন্য যৌতুক দেয়ার বদলে তাঁর লেখাপড়ার খরচ জোগান। তাতে মেয়েটি একদিন নিশ্চয়ই বড়মাপের কিছু হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহেমন্ত
পরবর্তী নিবন্ধহেমন্তের রূপবৈচিত্র্য ও গ্রামীণ জীবন