বাসযোগে গত বৃহস্পতিবার রাত ১টায় কর্ণফুলী উপজেলার ৪ বন্ধু সোহেল, ইরফান, মারুফ ও কাইয়ুম বেড়াতে গিয়েছিলেন কক্সবাজারে। পরে কক্সবাজারে বাইকযোগে তাদের সাথে মিলিত হন অপর বন্ধু রিফাত। শনিবার ফিরতি পথে তিন বন্ধু বাসযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। দুই বন্ধু রিফাত তানভীর ও মো. সোহেল রওনা দেন বাইকে। সেই বাইকই দুই বন্ধুর জন্য মৃত্যুদূত হলো, তারা চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
গত শনিবার চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় লরির ধাক্কায় কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের এই দুই মোটরসাইকেল আরোহী বন্ধু রাত ১০টার দিকে চকরিয়ার উত্তর হারবাং ভিলেজার পাড়া উলুমে দ্বীনিয়া মাদ্রাসার সামনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। পাঁচ বন্ধু মধ্যে বাসযোগে তিনজন সুস্থভাবে বাড়ি ফিরলেও লাশ হয়ে ফিরলেন বাইক আরোহী সোহেল ও রিফাত।
গতকাল সকাল ১০টায় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। তাদের মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ পরিবার, বন্ধু এবং এলাকাবাসী।
নিহত দুই বন্ধু হলেন কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বানুর বাপের বাড়ির মো. হেলালের পুত্র মো. সোহেল (১৯) এবং একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের হায়দার বাড়ির মাঙ্গা মিয়ার ছেলে মো. রিফাত তানভীর (১৮)। সোহেল ২০২৩ সালে কর্ণফুলী মডেল স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে পরিবারের মুদি দোকান দেখাশুনা করছিলেন।
সোহেলের ছোট বোন নাদিয়া সুলতানা নাদিলা জানান, বড় ভাইকে হারিয়ে আমাদের পরিবার শোকে স্তব্ধ। আমার ভাই তো আর ফিরবে না। ভাইটা আজীবনের জন্যই ‘নাই’ হয়ে গেল।
নিহত রিফাত তানভীরের চাচা মোহাম্মদ সাইফুদ্দীন জানান, তারা পাঁচ বন্ধু কঙবাজারে বেড়াতে গিয়েছিল। দুই বন্ধু মোটরসাইকেলে বাড়ি আসছিল। চকরিয়ায় লরির ধাক্কায় তাদের মোটরসাইকেলটি ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। রিফাত তার বাবার গরুর খামার দেখাশুনা করত। এক বছর পূর্বে সে বাইকটি কিনেছিল। সে বাইকই তার জন্য কাল হয়ে আসে।