পর্যাপ্ত পরিমাণ শক্তিশালী নতুন প্রযুক্তির হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ থাকার কথা জানিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তার দেশ ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্যও প্রস্তুত রয়েছে। এক টেলিভিশন ভাষণে পুতিন বলেন, রাশিয়ার সুরক্ষার জন্য আমরা যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা অব্যাহত রাখব। রাশিয়া প্রথমবারের মতো ইউক্রেইনে নতুন মাঝারিপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার একদিন পরই এই ঘোষণা দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। খবর বিডিনিউজের।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কিইভ রাশিয়ার সঙ্গে নতুন ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়ার কাছে ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা সীমিত। তাই প্রতিদিন পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা তাদের পক্ষে সম্ভব না। মধ্যবর্তী ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর পরিসীমা ৩,০০০–৫,৫০০ কিলোমিটার। এটি রাশিয়া থেকে ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম। এর আগে পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে তাদের অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার পর ইউক্রেন যুদ্ধ এখন বৈশ্বিক রূপ পাচ্ছে। পুতিন পশ্চিমাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, মস্কো পাল্টা হামলা চালাতে পারে। আর ইউক্রেনে মাঝারিপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের জবাবেই ইউক্রেইনের একটি সামরিক স্থাপনায় নতুন ধরনের হাইপারসনিক মাঝারি–পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওরেশনিক নামক ওই ক্ষেপণাস্ত্রের অভিনব বৈশিষ্ট্য হলো এটি একাধিক ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম যা একই সাথে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এটি সাধারণত পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনের জন্য ডিজাইন করা দূরপাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সাথে সম্পর্কিত। ইউক্রেন জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি এবং উৎক্ষেপণ থেকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রায় ১৫ মিনিট সময় লেগেছে। ইউক্রেন ও রাশিয়া ক্রমবর্ধমান শক্তিশালী অস্ত্র দিয়ে একে অপরের ভূখণ্ডে আঘাত হানার পর চলতি সপ্তাহে উত্তেজনা বাড়ার মধ্যে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।