বোধন আবৃত্তি স্কুল চট্টগ্রাম ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলা ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণ এ জনপদে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। গত ২২ নভেম্বর কথাগুলো বললেন বোধন আবৃত্তি স্কুল চট্টগ্রামের স্বর্ণালী ৬০ ও অনির্বাণ ৬১ আবর্তনের সমাবর্তনে অতিথিরা। যে সুন্দর করে কথা বলতে পারে, যার বাচনভঙ্গি অন্যকে আকৃষ্ট করে সেই সবসময় অনন্য। এমনি অনেক কবিতার পংক্তিতে মগ্ন ছিলো গত শুক্রবার নগরীর থিয়েটার ইন্সটিটিউটে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির নাট্যকলা বিভাগে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন রবিউল আলম, অধ্যাপক হোসাইন কবির এবং সাংবাদিক মিন্টু চৌধুরী। কথামালা পর্বে সভাপতিত্ব করেন বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল আজিজ। বক্তব্য রাখেন বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের কার্যকরী সদস্য সাজেদুল আনোয়ার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আবৃত্তিশিল্পী জসিম উদ্দিন। শেষে দুই আবর্তনের উত্তীর্ণদের মধ্যে অতিথিরা সনদপত্র প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসমাইল চৌধুরী সোহেল, বিপ্লব কুমার শীল, সংগীতা কর চৌধুরী, পল্লব গুপ্ত, সুচয়ন সেনগুপ্ত, শংকর প্রসাদ নাথ, ইভান পাল, হাসিবুল ইসলাম শাকিল। বড়দের আবৃত্তি, আবৃত্তিশিল্পী সাজ্জাদ হোসেনের গ্রন্থণা ও নির্দেশনায় বড়দের পরিবেশনায় ছিলো বৃন্দ প্রযোজনা সংহত হোক সবুজ বিপ্লব। এতে মহড়া পরিচালনায় ছিলেন শর্মিলা বড়ুয়া। শেষে শিশুদের পরিবেশনায় ছিলো ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটনের রচিত ছড়া সোহেল আনোয়ারের গ্রন্থণা ও নির্দেশনায় এবং ত্রয়ী দে মহড়া পরিচালনায় বৃন্দ প্রযোজনা ‘আজকে ছুটির দিন’। পুরো আয়োজনের সঞ্চালনায় ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী লিমা চৌধুরী ও ফাতেমা তুজ জোহরা জুঁই।