জানুয়ারি থেকে স্কুল কলেজের সব শিক্ষকের এমপিও ইএফটিতে

| রবিবার , ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ at ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

বেসরকারি স্কুলকলেজের শিক্ষককর্মচারীদের বেতন ভাতার সরকারি অংশ বা এমপিও আগামী জানুয়ারি মাস থেকে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা ইএফটি প্রক্রিয়ায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সেজন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষককর্মচারীদের বেতনভাতার তালিকাভুক্তি বা এমপিওভুক্তি এবং উচ্চতর গ্রেড, বিএড স্কেলসহ বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা পাওয়ার আবেদনের সময় পুনর্নির্ধারণ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। খবর বিডিনিউজের।

নতুন এ সূচি অনুসারে, ফেব্রুয়ারি, এপ্রিল, জুনের মত প্রতি ‘জোড়’ মাসের ৬ তারিখের মধ্যে বেসরকারি স্কুলকলেজের শিক্ষককর্মচারীরা এমপিওভুক্তি ও এ সংক্রান্ত আবেদন করতে পারবেন। এর আগে জোড় মাসের ৮ তারিখ পর্যন্ত এমপিওভুক্তির আবেদনের সুযোগ ছিল। আর জানুয়ারি, মার্চ, মে বা জুলাইয়ের মত প্রতি ‘বেজোড়’ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে এমপিও কমিটি সভা করে আবেদন করা শিক্ষককর্মচারীদের এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নেবে।

সরকারি কর্মচারীরা ইএফটিতে বেতনভাতা পান। অন্যদিকে এমপিওভুক্ত শিক্ষককর্মচারীদের বেতনভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে অনেকটা ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হয়। ব্যাংকগুলো মাধ্যমে বেতনভাতা ছাড়ের জন্য কয়েক পর্যায়ে অনুমোদনসহ সংশ্লিষ্ট কাজে অনেক ক্ষেত্রেই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতনভাতা পেতে দেরি হয়। অনেক সময় পরের মাসের ১০ তারিখের পরও আগের মাসের বেতনভাতা জোটে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক অধিশাখার উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী বলেন, গত ১২ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ে সভা করে জানুয়ারি থেকে বেসরকারি স্কুলকলেজের শিক্ষককর্মচারীদের এমপিও ইএফটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি আমাদের টার্গেট। এ জন্য শিক্ষকদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এটি টেকনিক্যাল প্রক্রিয়া। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সব শিক্ষককর্মচারীর এমপিও ইএফটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে তথ্য সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তথ্য সংগ্রহ শেষে তা আইবাস প্লাস প্লাস প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা গেলে আমরা জানুয়ারি থেকেই ইএফটিতে তাদের এমপিও দেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনির্বাচন যত দেরি হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে : তারেক রহমান
পরবর্তী নিবন্ধসরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি? বদিউল বললেন, বিবেচনা করছি