বহুল প্রতীক্ষিত কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর রেল–কাম সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পিডি (প্রকল্প পরিচালক) নিয়োগ হতে যাচ্ছে আগামী মাসে। প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের মধ্যদিয়ে নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ধাপে ধাপে এগিয়ে যাবে। আগামী বছরের মে–জুনে প্রকল্পের জন্য কোরিয়ার পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হবে। পরামর্শক নিয়োগের সাথে সাথে জুনে ভূমি অধিগ্রহণের কাজও শুরু হবে বলে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে।
রেল ভবন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগের কাজ চলছে। মূল সেতুর পুরো টাকা দক্ষিণ কোরিয়ার। প্রকল্পের ১১ হাজার ৫৬০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার মধ্যে ৭ হাজার ১২৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ) এবং ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট প্রমোশন ফ্যাসিলিটি (ইডিপিএফ)। অবশিষ্ট ৪ হাজার ৪৩৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকারের। ভূমি অধিগ্রহণ সরকারি অর্থায়নে হবে বলে জানা গেছে।
গত ১৫ নভেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক মতবিনিময় সভায় আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কালুরঘাট নতুন সেতুর কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন।
কালুরঘাট সেতু নির্মাণ সংক্রান্ত ফোকাল পার্সন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফা আজাদীকে বলেন, কালুরঘাট নতুন সেতু প্রকল্পের কাজ এগুচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে সেতুর পিডি নিয়োগ হবে। ২০২৫ সালের মে–জুনে প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগ হয়ে যাবে। যেহেতু প্রকল্পটি কোরিয়ান অর্থায়নে বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে, প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ হবে কোরিয়ার। পরামর্শক নিয়োগের পর তারা ডিটেইল ডিজাইন করবে। একইসাথে ভূমি অধিগ্রহণের কাজও মে–জুন থেকে শুরু হবে। ডিটেইল ডিজাইন করতে এক বছর লাগবে। এরপর টেন্ডার আহ্বান করা হবে। এরপর সেতুর কাজ শুরু হবে। সেতুর কাজ ২০২৬ সালের মাঝামাঝি শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, পরামর্শক নিয়োগের সাথে সাথে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে।
উল্লেখ্য, কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর দিয়ে রেল–কাম সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি গত ৭ অক্টোবর একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, চট্টগ্রাম এবং কঙবাজারের মধ্যে নির্বিঘ্ন ও নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বর্তমান পুরাতন সেতুর পাশে কালুরঘাটে কর্ণফুলীর উপর নতুন রেল–কাম সড়ক সেতু নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। রেলপথ মন্ত্রণালয় ২০৩০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।