ডিম, চিনি, ভোজ্যতেলসহ নিত্য পণ্যের দাম কমছে

চট্টগ্রাম চেম্বারে বাণিজ্য উপদেষ্টা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২২ নভেম্বর, ২০২৪ at ৭:২১ পূর্বাহ্ণ

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সরকার বাণিজ্য গতিশীল করার লক্ষ্যে ব্যবসা সহজীকরণ এবং কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমানোর জন্য কাজ করছে। একই সাথে দ্রব্যমূল্যের বাজার সহনশীল এবং ক্রেতাদের নাগালে আনতে স্থানীয় পণ্যের ঘাটতি পূরণে নিত্যপ্রয়োজনীয় আমদানি পণ্যের শুল্ক শূন্যতে নামিয়ে আনা হয়েছে। ২০ কোটি ডিম আমদানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার ফলে কমতে শুরু করেছে ডিম, চিনি, ভোজ্যতেলসহ নিত্য পণ্যের দাম।

গতকাল দুপুরে নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের কনফারেন্স হলে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সেবা সংস্থা এবং ব্যবসায়ী সংগঠন ও এসোসিয়েশনের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) মতবিনিময় সভাটির আয়োজন করে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, গত ১৫১৬ বছরে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো তিলে তিলে অক্ষম হয়ে গেছে। এখান থেকে বের হয়ে আসতে হলে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং এর জন্য ট্রেড এনগেজমেন্ট বাড়াতে হবে। বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বাজারে প্রভাব পড়েছে। তবে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন স্বাভাবিক হলে বাজার স্থিতিশীল হবে। এছাড়া আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে টিসিবিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকার কাজ করছে। এলডিসি

গ্র্যাজুয়েশনের পর বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি সহজলভ্য করতে জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ও আসিয়ানভূক্ত দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে জাপানের সাথে অর্থনৈতিক অংশীদারী চুক্তি ইপিএ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আলোচনা চলছে বলে তিনি অবহিত করেন।

বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন বলেন, পূর্বে ভোগ্যপণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় আমদানি ছিল মুষ্টিমেয় কিছু ব্যবসায়ীর হাতে। ফলে তারা সংকট তৈরি করে বাজার অস্থিতিশীল করতো। তাই সরকার আমদানির ক্ষেত্রে মনোপলি দূর করার মাধ্যমে যাতে সবাই আমদানি করতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। একই সাথে দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে শুল্ক এবং এলসি মার্জিন কমিয়েছে সরকার।

চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, সরকার আমাকে চট্টগ্রাম চেম্বারে একটি সুন্দর ও অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য দায়িত্ব প্রদান করেছে। সকলের সহযোগিতা নিয়ে সেই দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করতে চাই।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, চট্টগ্রামে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া ন্যায্যমূল্যে পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতে কৃষকের হাট বা সুলভ মূল্যের বাজার চালু করতে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন।

অন্যান্য বক্তারা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর বাজার মনিটরিং, ডিজিটাল সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থা, বন্দর ও বন্দরের আওতাধীন বিভিন্ন আইসিডির চার্জ কমানো, চট্টগ্রামকে প্রকৃত অর্থে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে ঢাকা নির্ভরতা কমানো এবং চিটাগাং চেম্বারের সুষ্ঠু ও অংশ গ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারের দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলিম আখতার খান, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরীসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশ্রমিকেরা অধিকার বঞ্চিত হলে কোনো প্রতিষ্ঠানের উন্নতি করা সম্ভব হয় না
পরবর্তী নিবন্ধছায়ামানুষ, ছায়াসময়