চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রাবাসে উঠা নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর চালানো হয়। এতে ৭ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ছাত্রদল বহিরাগত তরুণদের এনে এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীদের এক পক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাত্রাবাসে উঠতে গেলে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। আহতরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে এ ঘটনায় ছাত্রদলের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, আমরা শুনেছি ছাত্রশিবিরের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এর আগে, ১৫ বছর পর গত বুধবার দুটি ছাত্রাবাসের জন্য নির্বাচিত ছাত্রদের তালিকা প্রকাশ করে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক প্রশাসন। তালিকায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা গতকাল দুপুরে ছাত্রবাসে উঠতে গেলে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়ে বলে জানান তারা। জানা যায়, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে দুই দিন ধরে ছাত্রাবাসে আসন বরাদ্দের বৈধ তালিকা প্রকাশ নিয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভের পর গত বুধবার বেলা তিনটার দিকে তালিকা প্রকাশ করে প্রশাসন। ইনস্টিটিউটের পুরকৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন ভূঁইয়া জানান, ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা ইনস্টিটিউটে ঢুকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হানিফ। বলেন, আসন বরাদ্দ নিয়ে অনিয়মের প্রতিবাদ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিবির শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসন তাদের প্রতিশ্রুতি দিলেও ছাত্রদলের এক অংশের চাপের কারণে ছাত্রাবাস খোলার কাজ বিলম্বিত হয়েছে। এখন তালিকা প্রকাশ হলেও তাদের হলে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না।
ছাত্রদলের অভিযোগ অস্বীকার করে চট্টগ্রাম নগর (উত্তর) ছাত্রশিবিরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেন, দুই বছরের বেশি সময় ধরে সেখানে আমাদের কমিটি নেই। যেহেতু পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, তাই আমরা কমিটি দিইনি। শুনেছি, ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি হয়েছে।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ–পুলিশ কমিশনার (উত্তর) ফয়সাল আহমেদ রাত আটটার দিকে আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম পলিটেকনিকে ছাত্রাবাসে উঠা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষের খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকায় ঘটনা বড় কিছু ঘটতে পারেনি। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। বর্তমানে সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।