পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের নন্দের খিল এলাকায় ‘মরিয়ম এগ্রো ফার্ম থেকে ‘২১টি গরু চুরির’ খবর ছড়িয়ে পড়লে গতকাল দিনভর নানা আলোচনা চলে। বলা হয় সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটায় এ গরু লুট হয়। উৎসুক লোকজনও সেই খামারে ভিড় করেন। পরে খামারের কেয়ারটেকার ও মালিককে পুলিশ ও নগর ডিবি পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে ঘটনার আসল রহস্য। খামারে বড় ভাইয়ের মূলধন আত্মসাৎ করতেই ছোট ভাই তিন কেয়ারটেকারকে নিয়ে ২১টি গরু চুরির নাটক সাজান বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. আবদুন নুরসহ নগর ডিবি পুলিশের একটি টিম ঘটনার তদন্তে নামে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খামারের তিন কেয়ারটেকারকে থানায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে খামারের কেয়ারটেকার আলাউদ্দিন (৪৫), সালাউদ্দিন (৩৫) ও মো. রহিম (২০) এ ঘটনার আসল রহস্য স্বীকার করেন। তারা জানান, মরিয়ম এগ্রো ফার্মের মালিক মোহাম্মদ তৌহিদ কেয়ারটেকারদের সাথে ফন্দি করে গরুগুলো কৌশলে খামার থেকে সরিয়ে ডাকাতির ঘটনা সাজান। এছাড়া আগের দিন সোমবার অন্য জায়গা থেকে ১১টি গরু কিনে আনার ঘটনাটিও সাজানো বলে স্বীকারোক্তি দেন কেয়ারটেকাররা। পরে রাতে পুলিশ খামার মালিক মো. তৌহিদকে থানায় এনে বড় ভাই শফিউল আলমের সামনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, খামারের মূলধন বড় ভাইয়ের। সেই মূলধন আত্মসাত করার জন্যই ২১টি গরু লুটের ঘটনা সাজান তিনি।
পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জায়েদ মোহাম্মদ নাজমুন নুর জানান, উপজেলার ধলঘাটে আসলে গরু চুরি বা ডাকাতির কোনো ঘটনাই ঘটেনি। ঘটনাটি ছিল একটি পরিকল্পিত ও সাজানো। খামারের মালিক বড় ভাই শফিউল আলমের টাকা মেরে দিতেই খামারের অপর মালিক ছোট ভাই তৌহিদ এ ঘটনা সাজিয়েছেন।